
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি
লালমনিরহাটে মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি উপলক্ষ্যে শিশুর প্রতীকী লাশকে সামনে রেখে র্যালি ও পরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার -১২ এপ্রিল- দুপুর ৩ টায় তৌহিদী মুসলিম জনতার ব্যানারে একটি র্যালি শুরু হয়। পরে র্যালিটি শহরের অভিযান পাড়া, নর্থ বেঙ্গল মোড়, টিএন্ডটি মোড় ও হাড়িভাঙায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল হয়ে মিশন মোড় এসে শেষ হয়।
র্যালিতে মুসল্লিদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের ও বাংলাদেশের পতাকা এবং ‘ সাবিলুনা সাবিলুনা , আল জিহাদ আল জিহাদ’, ‘ ইজরাইলি পণ্য বর্জন করো’, বিশ্ব মুসলিম এক হও’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড।
কণ্ঠে ছিল ‘ লিল্লাহি তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘ বীর মুজাহিদ অস্ত্র ধরো, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো” ইত্যাদি স্লোগান ।
পরে মিশন মোড় চত্বরে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ওই বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তারা বলেন, “আমরা ধর্মপ্রাণ সকল মুসলিম প্রস্তুত আছি । সরকার যদি আমাদের ফিলিস্তিনে যাওয়ার সুযোগ করে দেন সেখানে গিয়ে আমরা সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক। গাজায় ফিলিস্তিনি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়ার পিছনে একমাত্র কারণ হলো আমাদের আরব দেশগুলো অর্থাৎ মুসলিম মোড়লেরা আমেরিকার পদলেহন করতেই ব্যস্ত । তাদের হৃদয় গাজার জন্য কাঁদেনা। অমরা অবিলম্বে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানাই।”
র্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সদস্য সচিব মো. হামিদুর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লালমনিরহাট জেলা শাখার আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহের, ইসলামী ছাত্র শিবির জেলা সভাপতি আবু তালেব, জেলা ছাত্রদলের নেতা হাবিবুর রহমান হিমেল, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ শহরের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিববৃন্দ বক্তব্য দেন।
এছাড়াও শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা একাত্মতা ঘোষণা করে সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।