Dhaka , Sunday, 6 October 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
অপহৃত কিশোরীকে বরিশাল থেকে উদ্ধার করেছে পিরোজপুর জেলা পুলিশ হাটহাজারিতে সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার বিষয়ক কর্মশালা।। শঙ্কামুক্ত দুর্গাপূজা উদযাপনে সনাতনীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বিএনপি- মাহবুবের রহমান শামীম।। ভোলায় -অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ৫ জন।। লক্ষ্মীপুরে পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রতিমা শিল্পিদের ব্যস্ততা ততই বেড়ে চলেছে।। চোখের পানি আর আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো ঠাকুরগাঁওয়ের ইজতেমা।। চট্টগ্রামের রাউজানে মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল ইসলাম সিদ্দিকী’র’ কু-কৃত্তি-১।। বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার দাবিতে দুর্গাপুরে সিপিবি’র বিক্ষোভ।। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত।। দুর্গাপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।। হরিপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত।। পুর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদান ও মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ।। সুন্দরগঞ্জে ভারি বর্ষনে তিস্তার নিচু এলাকা প্লাবিত।। সুন্দরগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আলোচনা।। পানি নিস্কাশনের নালা না থাকায় সুন্দরগঞ্জে পৌর শহরে হাটু পানি।। মুজিবনগরে  বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত।। নোয়াখালীতে ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড পানিবন্দি ২ লাখ ৬ হাজার পরিবার।। লক্ষ্মীপুরে ফের বন্যার পদধ্বনি এখনো ৩ লাখ মানুষ পানি বন্দী।। লালপুরে  শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার ও অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।। দেবহাটায় বিশ্ব শিক্ষক দিবসে র‌্যালী ও আলোচনা সভা।। ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন।। সকল শিক্ষককে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।। যানচলাচল বন্ধ করে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে জলঢাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন।।  ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন।। চাঁপাইনবাবগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৭টি ককটেল উদ্ধার।। ১০ কেজি গাঁজা ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার।। চিলমারীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অফিস উদ্ভোদন ও যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত।। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার গ্রেফতার।। ঠাকুরগাঁওয়ে পাউবো কর্মকর্তার কোটি টাকার কাঠ বাণিজ্য বিপাকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।। নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বরগুনায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত।।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত লক্ষ্মীপুরের মাসরুরের খবর কেউ রাখে না।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 04:25:17 pm, Friday, 27 September 2024
  • 6 বার পড়া হয়েছে

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত লক্ষ্মীপুরের মাসরুরের খবর কেউ রাখে না।।

মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
  
   
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগষ্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম মাসরুর। কিন্তু এখন তার খবর আর কেউ রাখে না।মানবেতর জীবন যাপন করছে তার পরিবার। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন গাজীপুরে।   আন্দোলনে অংশ নিতে নিষেধ করছিলেন স্ত্রী বিবি সালমা। এ সময় স্ত্রীকে থামিয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন- আমি আন্দোলনে গেলে শহীদ হব। যদি মারা যাই- লোকে তোমাদের শহীদের স্ত্রী-সন্তান’ বলে ডাকবে। আর আমার সন্তান মারা গেলে- তখন সবাই আমাদেরকে শহীদের বাবা-মা বলে ডাকবে।
গত ৫ আগস্ট গাজীপুরে আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মাসরুর। তিনি যখন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তখন তার স্ত্রী সালমা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার মৃত্যুর দেড় মাস পর গত রোববার -২২ সেপ্টেম্বর- স্ত্রীর কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান। শিশুটির এখনো নাম রাখা হয়নি। সাড়ে তিন বছর বয়সী নাফিজা আক্তার নামে এক কন্যা সন্তানও রয়েছে তাদের। প্রতিদিন বাবার সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা বলত নাফিজা। গত দেড় মাস বাবার সঙ্গে তার কথা হয় না। বাবার কথা জিজ্ঞেস করতেই দুচোখ পানিতে ভিজে যায় ছোট্ট নাফিজার।
শহীদ মাসরুরের স্ত্রী বিবি সালমার সাথে কথা হলে তিনি বলেন- মাসরুর আমাকে বলেছিলেন আন্দোলনে তার সঙ্গী হতে। আমাকে আন্দোলনে যেতে বুঝিয়ে গেছেন। হাজিরহাটে মিছিল হবে- আমাকে যেতে বলেছেন। সঙ্গে আমার সন্তানকে নেওয়ার জন্যও বলেছিলেন। এখন সবাই আছে, শুধু মাসরুর নেই। এখন আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার- কোথায় যাব- কি করব আল্লাহপাক জানেন। 
৫ আগস্টও সালমার সঙ্গে মাসরুরের কথা হয়। তখন মাসরুর দোকানে ছিলেন। সালমাকে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি আন্দোলনে যাবেন। সালমা খাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে আন্দোলন তারপর খাওয়া-দাওয়া। পরে সালমা তার ভাইয়ের কাছে জানতে পারেন মাসরুর মারা গেছেন। 
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার পাটওয়ারীর হাট ইউনিয়নের চরবড়ালিয়া গ্রামের বৃদ্ধ আবদুল খালেকের ছেলে মাসরুর। জীবিকার তাগিদে তিনি মাদরাসায় শিক্ষকতা, পোলট্রি খামার ও ইলেকট্রিক সরঞ্জামের ব্যবসা করেছেন। তবে কোথাও স্থায়ী হতে পারেননি। সবশেষ প্রায় সাত মাস আগে গাজীপুরে তার শ্বশুর মো. মোস্তফার কাছে যান ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে। সেখানে ব্যবসায় ভালোই করছিলেন। কিন্তু ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনীতি করায় সরকার পতনের আন্দোলনে সবসময় সক্রিয় ছিলেন তিনি। মাসরুর ইসলামী আন্দোলনের পাটওয়ারীর হাট ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। 
মাসরুরের শিক্ষকতা জীবনের সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম মেহরাজ বলেন, ঘটনার দিন মাসরুর তার এক বন্ধুকে বলেছিল, গুলিবিদ্ধ কেউ একজনকে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। গুলিবিদ্ধ সেই লোকটি তার বন্ধু ছিল। এরপর আর তার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। পরে গাজীপুরের শহীদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে— গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনদের দুশ্চিন্তায় না ফেলতে সেদিন তিনি ঘটনাটি লুকিয়েছিলেন। 
মাসরুরের ছোট ভাই হুমায়ুন কবির বলেন, আমার ভাই জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন। নিজে পড়ালেখা করেছেন। পাশাপাশি আমাদের জন্য কষ্ট করেছেন। তিনি একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। পরে ওই মাদরাসার দায়িত্ব আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে তিনি গাজীপুরে ব্যবসা করতে যান। আমার ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। সবাই বলেছে, তার শরীরের একটা গুলি লেগেছে। তবে শেষ গোসলের সময় তার পেটে ও পিঠে দুটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। 
মাসরুরের চাচা শ্বশুর ওমর ফারুক বলেন, মাসরুর আর্থিকভাবে তেমন একটা স্বাবলম্বী ছিলেন না। গাজীপুর যাওয়ার আগে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে যান। এখন তো কোনোভাবে দিন কাটছে তাদের। সামনে তারা কীভাবে চলবে? যতই সময় যাচ্ছে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। সরকার যদি পরিবারটির দিকে মুখ তুলে তাকায় হয়তো মাসরুরের স্ত্রী ছেলে-মেয়েকে নিয়ে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারবে। 
মাসরুরের কথা জিজ্ঞেস করতেই তার বৃদ্ধ বাবা আবদুল খালেকের চোখ থেকে পানি ঝরতে শুরু করে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, মাসরুর সবার চেয়ে ভালো ছিল। পরিবারের সবার দেখভাল করত। সরকার যদি আমাদের দিকে খেয়াল করে তাহলে মাসরুরের স্ত্রী,ছেলে মেয়ের জন্য ভালো একটা কিছু করা সম্ভব। তাই এই এতিম বাচ্চাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টা সহ সকল উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

অপহৃত কিশোরীকে বরিশাল থেকে উদ্ধার করেছে পিরোজপুর জেলা পুলিশ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত লক্ষ্মীপুরের মাসরুরের খবর কেউ রাখে না।।

আপডেট সময় : 04:25:17 pm, Friday, 27 September 2024
মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
  
   
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগষ্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম মাসরুর। কিন্তু এখন তার খবর আর কেউ রাখে না।মানবেতর জীবন যাপন করছে তার পরিবার। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন গাজীপুরে।   আন্দোলনে অংশ নিতে নিষেধ করছিলেন স্ত্রী বিবি সালমা। এ সময় স্ত্রীকে থামিয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন- আমি আন্দোলনে গেলে শহীদ হব। যদি মারা যাই- লোকে তোমাদের শহীদের স্ত্রী-সন্তান’ বলে ডাকবে। আর আমার সন্তান মারা গেলে- তখন সবাই আমাদেরকে শহীদের বাবা-মা বলে ডাকবে।
গত ৫ আগস্ট গাজীপুরে আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মাসরুর। তিনি যখন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তখন তার স্ত্রী সালমা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার মৃত্যুর দেড় মাস পর গত রোববার -২২ সেপ্টেম্বর- স্ত্রীর কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান। শিশুটির এখনো নাম রাখা হয়নি। সাড়ে তিন বছর বয়সী নাফিজা আক্তার নামে এক কন্যা সন্তানও রয়েছে তাদের। প্রতিদিন বাবার সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা বলত নাফিজা। গত দেড় মাস বাবার সঙ্গে তার কথা হয় না। বাবার কথা জিজ্ঞেস করতেই দুচোখ পানিতে ভিজে যায় ছোট্ট নাফিজার।
শহীদ মাসরুরের স্ত্রী বিবি সালমার সাথে কথা হলে তিনি বলেন- মাসরুর আমাকে বলেছিলেন আন্দোলনে তার সঙ্গী হতে। আমাকে আন্দোলনে যেতে বুঝিয়ে গেছেন। হাজিরহাটে মিছিল হবে- আমাকে যেতে বলেছেন। সঙ্গে আমার সন্তানকে নেওয়ার জন্যও বলেছিলেন। এখন সবাই আছে, শুধু মাসরুর নেই। এখন আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার- কোথায় যাব- কি করব আল্লাহপাক জানেন। 
৫ আগস্টও সালমার সঙ্গে মাসরুরের কথা হয়। তখন মাসরুর দোকানে ছিলেন। সালমাকে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি আন্দোলনে যাবেন। সালমা খাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে আন্দোলন তারপর খাওয়া-দাওয়া। পরে সালমা তার ভাইয়ের কাছে জানতে পারেন মাসরুর মারা গেছেন। 
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার পাটওয়ারীর হাট ইউনিয়নের চরবড়ালিয়া গ্রামের বৃদ্ধ আবদুল খালেকের ছেলে মাসরুর। জীবিকার তাগিদে তিনি মাদরাসায় শিক্ষকতা, পোলট্রি খামার ও ইলেকট্রিক সরঞ্জামের ব্যবসা করেছেন। তবে কোথাও স্থায়ী হতে পারেননি। সবশেষ প্রায় সাত মাস আগে গাজীপুরে তার শ্বশুর মো. মোস্তফার কাছে যান ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে। সেখানে ব্যবসায় ভালোই করছিলেন। কিন্তু ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনীতি করায় সরকার পতনের আন্দোলনে সবসময় সক্রিয় ছিলেন তিনি। মাসরুর ইসলামী আন্দোলনের পাটওয়ারীর হাট ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। 
মাসরুরের শিক্ষকতা জীবনের সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম মেহরাজ বলেন, ঘটনার দিন মাসরুর তার এক বন্ধুকে বলেছিল, গুলিবিদ্ধ কেউ একজনকে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। গুলিবিদ্ধ সেই লোকটি তার বন্ধু ছিল। এরপর আর তার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। পরে গাজীপুরের শহীদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে— গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনদের দুশ্চিন্তায় না ফেলতে সেদিন তিনি ঘটনাটি লুকিয়েছিলেন। 
মাসরুরের ছোট ভাই হুমায়ুন কবির বলেন, আমার ভাই জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন। নিজে পড়ালেখা করেছেন। পাশাপাশি আমাদের জন্য কষ্ট করেছেন। তিনি একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। পরে ওই মাদরাসার দায়িত্ব আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে তিনি গাজীপুরে ব্যবসা করতে যান। আমার ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। সবাই বলেছে, তার শরীরের একটা গুলি লেগেছে। তবে শেষ গোসলের সময় তার পেটে ও পিঠে দুটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। 
মাসরুরের চাচা শ্বশুর ওমর ফারুক বলেন, মাসরুর আর্থিকভাবে তেমন একটা স্বাবলম্বী ছিলেন না। গাজীপুর যাওয়ার আগে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে যান। এখন তো কোনোভাবে দিন কাটছে তাদের। সামনে তারা কীভাবে চলবে? যতই সময় যাচ্ছে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। সরকার যদি পরিবারটির দিকে মুখ তুলে তাকায় হয়তো মাসরুরের স্ত্রী ছেলে-মেয়েকে নিয়ে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারবে। 
মাসরুরের কথা জিজ্ঞেস করতেই তার বৃদ্ধ বাবা আবদুল খালেকের চোখ থেকে পানি ঝরতে শুরু করে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, মাসরুর সবার চেয়ে ভালো ছিল। পরিবারের সবার দেখভাল করত। সরকার যদি আমাদের দিকে খেয়াল করে তাহলে মাসরুরের স্ত্রী,ছেলে মেয়ের জন্য ভালো একটা কিছু করা সম্ভব। তাই এই এতিম বাচ্চাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টা সহ সকল উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা করছি।