
শাহিন ফকির।।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ০২ নং কদমতলা ইউনিয়ন এর উদ্যোগে ০১ ডিসেম্বর কদমতলা জর্জ হাই স্কুল মাঠে মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়-উক্ত মত বিনিময় সভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ০২ নং কদমতলা ইউনিয়ন শাখার আমীর মাওলানা বেলায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে- প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য ও জেলা আমীর অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসেন ফরিদ- বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য,বাংলাদেশ জামাত ইসলামী নায়েবে আমির আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর সুযোগ্য পুত্র জিয়ানগর উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদি- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুর রাজ্জাক- পিরোজপুর জেলা ওলামা বিভাগীয় সভাপতি মাওলানা আব্দুল হালিম- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর সদর উপজেলা আমির মোঃ সিদ্দিকুর রহমান- বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন- কদমতলা ইউনিয়নের বিভন্ন মাদ্রাসার প্রধানগন বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাসুদ সাঈদী বলেন,বিগত ২০ বছর আগে এই মাঠে তাফসির ও জনসভা করে গেছেন আল্লামা সাঈদী। ১৭ বছর পরে আমরা এখানে এসেছি ঠিকই কিন্তু কোরআনের পাখি আসেনি-আজকে এই ময়দানে কোরআনের পাখিরই আসার কথা ছিল কিন্তু ওই ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ খুনি হাসিনা পরিকল্পিতভাবে ভারতের সহযোগিতায় আল্লামা সাঈদী কে হত্যা করেছিল-কারণ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সবচেয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিলেন আল্লামা সাঈদী।ইসলামবিরোধী যে কোন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সবচেয়ে আগে যে কন্ঠটি গর্জে উঠত সেটি হচ্ছে আল্লামা সাঈদী।কুরআনের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে সবথেকে বেশি ভূমিকা যিনি রেখেছেন তিনি আল্লামা সাঈদী।এই কারণে ফ্যাসিস্টরা আল্লামা সাঈদীকে কোরআনের ময়দান থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পরিকল্পনা করেছিল-আর সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাকে ১৩ বছর কারাগারে আটকে রাখার পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
তিনি আরো বলেন-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে একটি কল্যাণময় ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে কায়েম করতে চায়,ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে হলে আমাদেরকে প্রত্যেক ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে, যেহেতু ইসলাম কায়েমের জন্য পৃথিবীতে যুদ্ধের কোন সুযোগ নাই-আগামীতে যদি ইসলামিক রাষ্ট্র কায়েম করতে চান তাহলে আগামীতে যে নির্বাচন সেই নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক আসনে সত্যের পক্ষে,ন্যায়ের পক্ষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে- তাহলে ওইদিনই একটি ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ হবে।