Dhaka , Tuesday, 21 January 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
দুর্গাপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ ফ্যাসিস্ট বেনজিরের ক্যাশিয়ার জসিম উদ্দিন কে গ্রেফতারের দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঢাকা উত্তর ছাত্রদলের নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে নোমানের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল ‘তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান সংযোগ বিচ্ছিন্ন জরিমানা আদায় দূষণ বিরোধী অভিযানে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা ৩ ইটভাটা বন্ধ ২,২২৩ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য মহড়ার আয়োজন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পার্বত্য এলাকার বহুমুখী পণ্যের দেশব্যাপী প্রসারে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন হচ্ছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাবের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ডা. শাহাদাত পাইকগাছায় লটারীতে রাস্তা নির্মানের টেন্ডার সম্পন্ন বন্ধ হলো ভোরের কাগজ বাংলাদেশ বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্র সংস্কার ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে রাকিব মুসল্লী ও হৃদয় হাসান লক্ষ্মীপুরে ড্রামট্রাকের চাপায় ২ অটো রিকশা যাত্রী  নিহত  পাইকগাছায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত  পাইকগাছার শীতার্তদের মাঝে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির শীতবস্ত্র বিতরণ হাটহাজারী অনলাইন প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন মেহেরপুরে তারুণ্যের ভাবনায় নতুন বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা রামগঞ্জের নিখোঁজের চার দিন পর বৃদ্ধের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার বিভিন্ন প্রকল্পে নানা অনিয়ম লুটপাট বন্ধের দাবিতে দুর্গাপুরে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পিরোজপুর মাহামুদ হোসাইন শক্ত নেতৃত্বে চাঙ্গা হচ্ছে পিরোজপুর-২ ভান্ডারিয়া,কাউখালি,নেছারাবাদ বিএনপি জনসংযোগ কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধান তথ্য অফিসার জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমকে প্রাধান্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করুন পাইকগাছায় তারেক রহমানের পক্ষে বিএনপি’র কম্বল বিতরণ  হাটহাজারিতে জমির টপসয়েল কাটার দায়ে অর্থদণ্ড আজ শহীদ আসাদ দিবস পালিত নরসিংদীতে ভারতীয় পণ্যসহ যুবক আটক ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ রিয়াজের নামে বরিশালের হিজলায় লঞ্চঘাটের পন্টুন উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা সুন্দরবন থেকে ২৫কেজি হরিণের মাংস জব্দ মুক্তিপণের টাকা দিয়েও অনয়কে মরতে হলো শহীদ জিয়ার জন্ম বার্ষিকীতে মেহেরপুরে বিএনপির দোয়া মাহফিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালিত

বরগুনার শীর্ষ সন্ত্রাসী মহিউদ্দিন পান্নার আতংকে জনগণ ।

বরগুনার পাথরঘাটায় শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ সিকদারের সহযোগী ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন পান্নার আতংকে জনগণ। গ্রাম ছাড়া নির্যাতিত রেনু বেগমের পরিবার ।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ২নং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মহিউদ্দিন পান্নার নামে বসতবাড়ি,ফসলি জমি, দোকান ও ঘরের মালামাল লুটপাট এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী রেনু বেগমের সাবেক বেয়াই মহিউদ্দিন পান্না। রেনু বেগমের দুই সন্তান নোমান ও চুমকির দেওয়া জবানবন্দী ও স্থানীয় লোকজনের মুখে জানা যায় পাথরঘাটা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেম্বার মহিউদ্দিন পান্না খুলনার ভয়ানক শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের সহযোগী ছিল। রেনু বেগম এর ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রবাসে থাকা অবস্থায় মহিউদ্দিন পান্নাকে নির্বাচন করার জন্য এগারো লক্ষ টাকা দেওয়ার হয়। সেই টাকা চাইতে গেলে পান্না মেম্বার এর সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। পান্না মেম্বারের মেয়ের উগ্র চলাফেরা ও পান্না মেম্বারের জামাইয়ের পাঠানো টাকা আত্মসাৎ এর কারণে পান্না মেম্বার এর মেয়েকে তালাক প্রদান করে অভিযুক্তকারী রেনু বেগমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান।তারই যে জের ধরে একের পর এক সন্ত্রাসী পান্না তার গ্রুপ নিয়ে হামলা চালায়। পান্না গ্যানদের ভয়ে রেনু বেগম তার পরিবারের সকল সদস্য নিয়ে নিজ এলাকা ছেড়ে নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছে।

উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল পান্নার নেতৃত্বে তার বাহিনী দিয়ে আলহাজ্ব আব্দুল খালেক হাওলাদার এর পরিবারের উপর অতর্কিত ভাবে তার বসতবাড়িতে হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় আলহাজ্ব আব্দুল খালেক, তার স্ত্রী রেনু বেগম, ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান, আত্মীয় মোস্তাফিজুর রহমান রনিকে ।উপরে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলো পাথারি ভাবে কুপিয়ে যখন করে, পরে রেনু বেগমের চিৎকারে এলাকার লোকজন ঘটনা স্থলে এসে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে, নোমান এর অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে মামলা হলে
পান্না গ্রেফতার হয়। পান্না গ্রেফতার হওয়ার পরে, রেনু বেগম তার নিজ বাড়িতে ঢুকতে গেলে সন্ত্রাসী পান্নার মেয়ে লায়লা আক্তার পপি ও ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম আছফি তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে পুনরায় ২৪ মে রেনু বেগমের মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়। পরবর্তীতে পাথরঘাটার থানার ওসি হানিফ সিকদার ঘটনাস্থলে এসে রেনু বেগমকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়, ওসি ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যম কর্মীদের প্রকাশ করেন। দৈনিক কালের কন্ঠ, যুগান্তর, ভোরের পাতা, দৈনিক নয়াদিগন্ত, ও অনলাইন টিভি চ্যানেলে উক্ত ঘটনা সংবাদ আকারে প্রকাশ হয়।এবং প্রত্যক্ষদর্শীরাও ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তুলে ধরেন। তৃতীয় দফায় সন্ত্রাসী পান্না জেল থেকে জামিনে বের হয়ে সন্ত্রাসী পান্না গ্যাং এবং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে আনুমানিক ভোর ছয়টায় রেনু বেগমের নিজ বসতবাড়িতে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় অভিযোগ কারীদের জবানবন্দি তে জানা যায়, পান্না গংরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত ও যখন করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীরা জানায়, স্থানীয় পুলিশ পান্নার নিয়ন্ত্রণে থাকায় প্রশাসন ঘটনা জানার পরেও ঘটনাস্থলে আসেনি, পরবর্তীতে পুলিশ সুপারকে অবগত করা হলে পরে, তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, ঘটনা স্থলে সার্কেল এসপি, এডিশনাল এসপি সহ পাথরঘাটা থানার ফোর্স এর উপস্থিতি টের পেয়ে পান্না পালিয়ে গেলে পান্নার ছোট ভাই সেলিম ওরফে মোল্লা ও সেলোক আলামিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। অভিযোগকারী তথ্যমতে, রেনু বেগমের পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা আসলে সন্ত্রাসী পান্না তার গ্যাং নিয়ে রেনু বেগমের নগদ অর্থ,স্বর্ণ অলংকার সহ বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র, পাসপোর্ট, যাবতীয় দলিল এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকায় পান্না শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের আতঙ্ক ছড়ায়, পান্না গ্যাং এর ভয়ে রেনু বেগমের পরিবার এলাকায় ঢুকতে পারেনা, এবং রেনু বেগমের একমাত্র মেয়ে চুমকি কে ফোন করে এলাকায় ঢুকলে এসিড মারা হবে বলে হুমকি দেয় । তাই জীবনের নিরাপত্তা, মিথ্যা মামলা, জোর করে জমি, বসতবাড়ি দোকান দখল প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ এর বিশেষ দপ্তর, বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করা হয়। বরগুনা পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিকভাবে জেলা গোয়েন্দা শাখা বরগুনা এস আই মোঃ মোস্তফা মনিরুল আলমকে তদন্তের জন্য সরোজমিনে পাঠায়, তদন্ত শেষে ডিবির এসআই মনিরুল আলম জানায় বাদিনীর ছেলে তার স্ত্রী লায়লা আক্তার পপিকে তালাক প্রদান করায় মহিউদ্দিন পান্না ও তার লোকজন আলহাজ্ব আব্দুল খালেক কে ভয় ভীতি দেখিয়েছেন যার কারণে আব্দুল খালেক ও রেনু বেগম নিজেদের বসতবাড়িতে আসতে পারছে না, যাহা আমার তদন্ত কালে সাক্ষী প্রমাণের সত্যতা পাওয়া যায়। তদন্ত প্রতিবেদন সূত্র স্মারক নাম্বার ২০৫ /বি তারিখ ২২/১/২০১৯। মহিউদ্দিন পান্না কতৃক রেনু বেগমের বসত বাড়িও দোকানপাট দখলের বিষয় নিজে বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, পাথরঘাটা, বরগুনায় মামলা দায়ের করেন। যাহার সি আর কেস নাম্বার ২৩৩/১৮, ধারা ১৪৩ / ৪৪৮/ ৩৮০ / ৪২৭ / ৪৬১ / ৫০৬ (২) ১১৪ প্যানেল কোড। বর্তমানে নাচনা পাড়া বাজারে রেনু বেগমের মেয়ে জামাইকে দেয়া উপহার দোকান ভিটাটি সন্ত্রাসী পান্না দখল করে আছে। এবং রেনু বেগমের নিজ নামের বসতবাড়ি দুটি, একটি দোতলা বিল্ডিং ও একটি একতলা বিল্ডিং ভাড়া দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। বসতবাড়ি ও দোকান খতিয়ান নাম্বার – বি এস ২০৫, ১৫১৯,১০৪৩ মোট তিনটি খতিয়ান, এস এ ৫০৩,৫৫২ দোকান সহ সবকিছু দখল করে এবং এলাকায় ঢুকলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। মানিকখালির স্থানীয় লোকজনের কাছে পান্না সম্পর্কে জানতে চাইলে, তাহারা বলে পান্না মেম্বার হওয়ার পূর্বে যুবদল ও শিবির নেতা ছিল এবং আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে এলাকা ত্যাগ করে খুলনাতে ভয়ংকর শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন এই ধারাবাহিকতায় খুলনা থেকে এরশাদ শিকদারের লোক পরিচয় বিভিন্ন সময় তাহার সাথে একটি বাহিনী পাথরঘাটার বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করতো। বর্তমানে সন্ত্রাসী পান্না এলাকার ভয়ানক রাঘববোয়াল হিসেবে পরিচিত। এমন কি পাথরঘাটা থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ শাজাহান মিয়ার ইস্কুল দখল করে পান্না ও তার ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা তরিকুলইসলাম আসফি। সরোজমিনে গিয়ে জানা যায় পান্নার ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রদলের একটি বাহিনী নিয়ে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এবং পান্না মেম্বার একজন ভূমিদস্যু, ও পান্না মেম্বার এরশাদ শিকদারের সহযোগী হওয়ার কারণে এলাকার লোকজন প্রকাশ্যে তথ্য দিতে নারাজ। সরোজমিনে আরো জানা যায়, ২৮ শে অক্টোবর সরকার পতনের আন্দোলনে, গ্রাম থেকে লোকজন নিয়ে ঢাকা আন্দোলনে যোগ দেয়।উল্লেখ্য পান্না মেম্বার এরশাদ শিকদারের সহযোগী থাকার কারণে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ আতঙ্কিত থাকে । এ ছাড়া পান্নার বিরুদ্ধে হত্যা ও নারী,নির্যাতনের মামলা রয়েছে।তাই উপরোক্ত ঘটনাটি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে সংবাদ আকারে প্রকাশ করা হলো।

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

দুর্গাপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ

বরগুনার শীর্ষ সন্ত্রাসী মহিউদ্দিন পান্নার আতংকে জনগণ ।

আপডেট সময় : 03:48:10 pm, Monday, 22 January 2024

বরগুনার পাথরঘাটায় শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ সিকদারের সহযোগী ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন পান্নার আতংকে জনগণ। গ্রাম ছাড়া নির্যাতিত রেনু বেগমের পরিবার ।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ২নং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মহিউদ্দিন পান্নার নামে বসতবাড়ি,ফসলি জমি, দোকান ও ঘরের মালামাল লুটপাট এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী রেনু বেগমের সাবেক বেয়াই মহিউদ্দিন পান্না। রেনু বেগমের দুই সন্তান নোমান ও চুমকির দেওয়া জবানবন্দী ও স্থানীয় লোকজনের মুখে জানা যায় পাথরঘাটা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেম্বার মহিউদ্দিন পান্না খুলনার ভয়ানক শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের সহযোগী ছিল। রেনু বেগম এর ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রবাসে থাকা অবস্থায় মহিউদ্দিন পান্নাকে নির্বাচন করার জন্য এগারো লক্ষ টাকা দেওয়ার হয়। সেই টাকা চাইতে গেলে পান্না মেম্বার এর সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। পান্না মেম্বারের মেয়ের উগ্র চলাফেরা ও পান্না মেম্বারের জামাইয়ের পাঠানো টাকা আত্মসাৎ এর কারণে পান্না মেম্বার এর মেয়েকে তালাক প্রদান করে অভিযুক্তকারী রেনু বেগমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান।তারই যে জের ধরে একের পর এক সন্ত্রাসী পান্না তার গ্রুপ নিয়ে হামলা চালায়। পান্না গ্যানদের ভয়ে রেনু বেগম তার পরিবারের সকল সদস্য নিয়ে নিজ এলাকা ছেড়ে নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছে।

উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল পান্নার নেতৃত্বে তার বাহিনী দিয়ে আলহাজ্ব আব্দুল খালেক হাওলাদার এর পরিবারের উপর অতর্কিত ভাবে তার বসতবাড়িতে হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় আলহাজ্ব আব্দুল খালেক, তার স্ত্রী রেনু বেগম, ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান, আত্মীয় মোস্তাফিজুর রহমান রনিকে ।উপরে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলো পাথারি ভাবে কুপিয়ে যখন করে, পরে রেনু বেগমের চিৎকারে এলাকার লোকজন ঘটনা স্থলে এসে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে, নোমান এর অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে মামলা হলে
পান্না গ্রেফতার হয়। পান্না গ্রেফতার হওয়ার পরে, রেনু বেগম তার নিজ বাড়িতে ঢুকতে গেলে সন্ত্রাসী পান্নার মেয়ে লায়লা আক্তার পপি ও ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম আছফি তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে পুনরায় ২৪ মে রেনু বেগমের মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়। পরবর্তীতে পাথরঘাটার থানার ওসি হানিফ সিকদার ঘটনাস্থলে এসে রেনু বেগমকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়, ওসি ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যম কর্মীদের প্রকাশ করেন। দৈনিক কালের কন্ঠ, যুগান্তর, ভোরের পাতা, দৈনিক নয়াদিগন্ত, ও অনলাইন টিভি চ্যানেলে উক্ত ঘটনা সংবাদ আকারে প্রকাশ হয়।এবং প্রত্যক্ষদর্শীরাও ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তুলে ধরেন। তৃতীয় দফায় সন্ত্রাসী পান্না জেল থেকে জামিনে বের হয়ে সন্ত্রাসী পান্না গ্যাং এবং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে আনুমানিক ভোর ছয়টায় রেনু বেগমের নিজ বসতবাড়িতে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় অভিযোগ কারীদের জবানবন্দি তে জানা যায়, পান্না গংরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত ও যখন করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীরা জানায়, স্থানীয় পুলিশ পান্নার নিয়ন্ত্রণে থাকায় প্রশাসন ঘটনা জানার পরেও ঘটনাস্থলে আসেনি, পরবর্তীতে পুলিশ সুপারকে অবগত করা হলে পরে, তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, ঘটনা স্থলে সার্কেল এসপি, এডিশনাল এসপি সহ পাথরঘাটা থানার ফোর্স এর উপস্থিতি টের পেয়ে পান্না পালিয়ে গেলে পান্নার ছোট ভাই সেলিম ওরফে মোল্লা ও সেলোক আলামিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। অভিযোগকারী তথ্যমতে, রেনু বেগমের পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা আসলে সন্ত্রাসী পান্না তার গ্যাং নিয়ে রেনু বেগমের নগদ অর্থ,স্বর্ণ অলংকার সহ বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র, পাসপোর্ট, যাবতীয় দলিল এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকায় পান্না শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের আতঙ্ক ছড়ায়, পান্না গ্যাং এর ভয়ে রেনু বেগমের পরিবার এলাকায় ঢুকতে পারেনা, এবং রেনু বেগমের একমাত্র মেয়ে চুমকি কে ফোন করে এলাকায় ঢুকলে এসিড মারা হবে বলে হুমকি দেয় । তাই জীবনের নিরাপত্তা, মিথ্যা মামলা, জোর করে জমি, বসতবাড়ি দোকান দখল প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ এর বিশেষ দপ্তর, বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করা হয়। বরগুনা পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিকভাবে জেলা গোয়েন্দা শাখা বরগুনা এস আই মোঃ মোস্তফা মনিরুল আলমকে তদন্তের জন্য সরোজমিনে পাঠায়, তদন্ত শেষে ডিবির এসআই মনিরুল আলম জানায় বাদিনীর ছেলে তার স্ত্রী লায়লা আক্তার পপিকে তালাক প্রদান করায় মহিউদ্দিন পান্না ও তার লোকজন আলহাজ্ব আব্দুল খালেক কে ভয় ভীতি দেখিয়েছেন যার কারণে আব্দুল খালেক ও রেনু বেগম নিজেদের বসতবাড়িতে আসতে পারছে না, যাহা আমার তদন্ত কালে সাক্ষী প্রমাণের সত্যতা পাওয়া যায়। তদন্ত প্রতিবেদন সূত্র স্মারক নাম্বার ২০৫ /বি তারিখ ২২/১/২০১৯। মহিউদ্দিন পান্না কতৃক রেনু বেগমের বসত বাড়িও দোকানপাট দখলের বিষয় নিজে বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, পাথরঘাটা, বরগুনায় মামলা দায়ের করেন। যাহার সি আর কেস নাম্বার ২৩৩/১৮, ধারা ১৪৩ / ৪৪৮/ ৩৮০ / ৪২৭ / ৪৬১ / ৫০৬ (২) ১১৪ প্যানেল কোড। বর্তমানে নাচনা পাড়া বাজারে রেনু বেগমের মেয়ে জামাইকে দেয়া উপহার দোকান ভিটাটি সন্ত্রাসী পান্না দখল করে আছে। এবং রেনু বেগমের নিজ নামের বসতবাড়ি দুটি, একটি দোতলা বিল্ডিং ও একটি একতলা বিল্ডিং ভাড়া দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। বসতবাড়ি ও দোকান খতিয়ান নাম্বার – বি এস ২০৫, ১৫১৯,১০৪৩ মোট তিনটি খতিয়ান, এস এ ৫০৩,৫৫২ দোকান সহ সবকিছু দখল করে এবং এলাকায় ঢুকলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। মানিকখালির স্থানীয় লোকজনের কাছে পান্না সম্পর্কে জানতে চাইলে, তাহারা বলে পান্না মেম্বার হওয়ার পূর্বে যুবদল ও শিবির নেতা ছিল এবং আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে এলাকা ত্যাগ করে খুলনাতে ভয়ংকর শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন এই ধারাবাহিকতায় খুলনা থেকে এরশাদ শিকদারের লোক পরিচয় বিভিন্ন সময় তাহার সাথে একটি বাহিনী পাথরঘাটার বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করতো। বর্তমানে সন্ত্রাসী পান্না এলাকার ভয়ানক রাঘববোয়াল হিসেবে পরিচিত। এমন কি পাথরঘাটা থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ শাজাহান মিয়ার ইস্কুল দখল করে পান্না ও তার ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা তরিকুলইসলাম আসফি। সরোজমিনে গিয়ে জানা যায় পান্নার ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রদলের একটি বাহিনী নিয়ে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এবং পান্না মেম্বার একজন ভূমিদস্যু, ও পান্না মেম্বার এরশাদ শিকদারের সহযোগী হওয়ার কারণে এলাকার লোকজন প্রকাশ্যে তথ্য দিতে নারাজ। সরোজমিনে আরো জানা যায়, ২৮ শে অক্টোবর সরকার পতনের আন্দোলনে, গ্রাম থেকে লোকজন নিয়ে ঢাকা আন্দোলনে যোগ দেয়।উল্লেখ্য পান্না মেম্বার এরশাদ শিকদারের সহযোগী থাকার কারণে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ আতঙ্কিত থাকে । এ ছাড়া পান্নার বিরুদ্ধে হত্যা ও নারী,নির্যাতনের মামলা রয়েছে।তাই উপরোক্ত ঘটনাটি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে সংবাদ আকারে প্রকাশ করা হলো।