
প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম,দুর্নীতি,স্বজন প্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে অভিভাবকরা।
অভিযুক্তর নাম মোছাঃ বিলকিছ আক্তার। তিনি নাসিরনগর খান্দুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। নামমাত্র প্রধান শিক্ষক থাকলেও বিদ্যালয় এসে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন না মনের ভুলেও। তার বাড়ী বিদ্যালয়ের পাশে থাকায় নিজ ইচ্ছে মতো বিদ্যালয়ে আসেন। মাসের ভিতর তিনি বেশীর ভাগ সময়ে বিদ্যালয় অনুপস্থিত থাকেন।
কয়েকজন অভিভাবক বলেন, তিনি প্রতিদিন বিদ্যালয় আসেন সকাল ৯টার দিকে আবার চলে যান বেলা ১২ টার মধ্যেই। বিদ্যালয় এসেই আগে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন তিনি। পরে সহকারী শিক্ষকদের ডেকে নানা অজুহাত দেখিয়ে আবার বাড়ীতে চলে যান। তার বিরুদ্ধে কোন অভিভাবক কথা বললে তার মাশুল দিতে হয় শিক্ষার্থীকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির কারণে খান্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেধা তালিকার শীর্ষে থাকা অনেক শিক্ষার্থী বৃত্তি পরিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অভিভাবক তৌহিদ মিয়া বলেন, বিদ্যালয়টিতে ৫ ম শ্রেনীতে ৬৫ জন ছাত্র ছাত্রী অধ্যায়নরত রয়েছে। তাদের মাঝে রোল নং ১ হতে ১৯ পর্যন্ত কোন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করতে দেয়নি। তিনি তার মনগড়া মত যাদের কে বৃত্তি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করার অনুমতি দিয়েছে তাদের বিদ্যালয় রোল-নং হল ২০,৩০,৩৯,৪৪,৫৯ ও ৬৪ । এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অভিভাবকরা। বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার কাছে অনুরোধ করলে তিনি অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। পরে অভিভাবকরা খান্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল কমিটির কাছে মৌখিক ভাবে জানান।
স্কুল কমিটির সভাপতি সৈয়দ আহমদ বখত মতিন জানান, অভিভাবকদের অভিযোগের বিষয়টি প্রধান শিক্ষিকাকে অনুরোধ করেছি কিন্তু তিনি আমার অনুরোধ রাখেননি। আমরা চাই নিয়মতান্ত্রিক ভাবে স্কুলটি পরিচালনা করতে। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকা কারো কথা শোনে না। তিনি সব সময় তার মনগড়া মত চলতে চায়।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা বিলকিছ আক্তার মুঠুফোনে বলেন, করোনার কারনে প্রায় দু বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। যারা তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিল তার এখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ছে। বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে একটি মেধাতালিকার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সেই পরিক্ষায় যে সব শিক্ষার্থীরা ভালো রেজাল্ট করছে আমি তাদেরকে বৃত্তি পরীক্ষার জন্য সিলেক্ট করি।
নাসিরনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল মিয়া গনমাধ্যমকে জানান,আমাদের নির্দেশনা আছে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে ১০% শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবে। প্রধান শিক্ষিকার মনগড়া মত করে কোন তালিকা দেয়ার সুযোগ নাই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে তাৎক্ষণাৎ আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।