মোঃ রাকিবুল ইসলাম রাসেল
পূর্বাচল রূপগঞ্জ প্রতিনিধি।।
গত ২০০৯ সালে ২৫- ২৬ ফেব্রুয়ারিতে পিলখানা -বিডিআর- হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচার- জেল থেকে মুক্তি ও চাকুরীতে পূর্ণ বহাল দাবিতে ঢাকা শাহাবাগ শহীদ মিনারের সামনে সাজা প্রাপ্ত বিডিআর ও তার পরিবারবর্গ মানববন্ধন এ ৯ দফা ঘোষণা দেন।
পিলখানা হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ঐক্য ফোরামের উদ্যোগে- প্রথমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদের ও পিলখানা শহীদ সেনা অফিসার,বিডিআর অফিসার- জওয়ান ও বেসামরিক মৃত ব্যাক্তিদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করে এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহত যোদ্ধাদের সুস্থ্যতা কামনা করে। পরে ২০০ বছরের পুরাতন ইতিহাসে বিশ্বের সেরা সীমান্তরক্ষা বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলস -বিডিআর- এর যাত্রা ১৭৯৫ সাল এবং ১৯৭১ সালে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং তার বিভিন্ন গৌরবময় স্মৃতি তুলে ধরা হয়। এই গৌরবময় বিডিআর কে ২০০৯ সালে একটি কুচক্রি মহল বিডিআর হত্যাকান্ডের মধ্যে দিয়ে- ২০০ বছরের সমস্ত সুনামের ইতিহাস ধূলয় মিশিয়ে দেন। ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনা বিগত ১৬ বছর ধরে নিরীহ দারিদ্র পরিবারের বিডিআর সদস্যদের তার আজ্ঞাবহ আদালতে কাউকে জামিন দেয়নি।
আর যারা বিডিআর আইনে জেলখেটে বাহির হয়েছে তারা ও মানবাতার জীবন যাপন করছেন। ১৮ হাজারেরও বেশি বিডিআর সদস্যদের চাকুরী থেকে বহিস্কার ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। সত্য উদঘাটন করে প্রকৃত আসামী ও পরিকল্পনাকারীদের অত্র মামলায় আসামী করা এবং সঠিক বিচার করা হোক। মানববন্ধন কর্মসূচি শেষ হওয়ার মুহুর্তে সকল মিডিয়ার সামনে প্রধান উপদেষ্টা ও দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ৯দফা ঘোষণা দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পিলখনা হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ঐক্য ফোরামের আহবায়ক এডভোকেট আব্দুল আজিজ -বিডিআর সন্তান- সদস্য সচিব মো: জুয়েল আজিজ -বিডিআর সন্তান- সাজা শেষ করে বাহিরে থাকা বিডিআর সদস্য- তার পরিবার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা,লেখক,আমজনতা।