পাবনা প্রতিনিধি।।
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দিলপাশার ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নানকে প্রাণ নাশের হুমকি ও পরিষদে তার অফিস কক্ষে অসৎ উদ্দেশ্যে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন ৪ ইউপি সদস্য।
যারা তালা লাগিয়েছেন তারা হলেন- মোঃ সাহেব আলী সরকার- মোঃ আরজু খান মোঃ শরিফ উদ্দিন রিপন ও মোঃ আবু হান্নান। গত বৃহস্পতিবার -১২ সেপ্টেম্বর- সন্ধ্যা ৬টার দিকে দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তারা হাজির হয়ে এই তালা দেন।
খবর পেয়ে, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হান্নান উপজেলা নির্বাহী অফিসার -ইউএনও-কে অবগত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ইউপি সদস্যরা ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রাণ নাশের বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসছে। যার রেকর্ডিং মোবাইল ফোনে ধারণ করা আছে বলেও দাবি করেন চেয়ারম্যান।
চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান জানান, নৌকা যোগে ৪ ইউপি সদস্য দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যায় এবং অসৎ উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যানের কক্ষের তালা ভেঙ্গে কক্ষের ভিতরে প্রবেশ করে ও নতুন করে চেয়ারম্যানের কক্ষে একটি তালা ঝুলিয়ে দেয়।
সংবাদ পেয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মোছাঃ শেফালী খাতুনকে ইউনিয়ন পরিষদে পাঠালে সে ঘটনাটি সত্য বলে জানায়।
তখন বিষয়টি চেয়ারম্যান ইউএনওসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করে থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন চেয়ারম্যান।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর আওয়ামীলীগ সরকারের সুবিধাভোগী ও ছাত্রজনতার আন্দোলনে নাশকতাকারীরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদ গুলিতে সরকারি কাজের গতিশীলতা আনতে কোথাও কোথাও প্যানেল চেয়ারম্যান অথবা সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসক বা প্যানেল চেয়ারম্যানকে নিয়োগ দিয়েছেন ।
কিন্তু ভাঙ্গুড়া উপজেলার সব কয়েকটি ইউনিয়নেই চেয়ারম্যান সরকার পতনের পরও কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করায় সরকার প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি আসেনি।
এ পরিস্থিতে দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন তিনিই ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন।
ঘটনার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান বলেন, নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়ে চেয়ারম্যনের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আমাকে নানাভাবে অভিযোগ ট্যাগ দিয়ে হয়রানি করেছেন আওয়ামীলীগ সরকারের কতিপয় সুবিধাভোগী ইউপি সদস্য।
সরকার পতনের পরও তারা একই কায়দায় মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে আমার ক্ষতির অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকার চাইলে তিনি যে কোন সময় পদত্যাগ করতে রাজী আছেন।
ঘটনার বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ওসি- মো. নাজমুল হোসেন বলেন- উভয় পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার -ইউএনও- মোছাঃ নাজমুন নাহার বলেন, দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে তালা লাগানোর বিষয়টি শুনেছি। এর আগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত
অভিযোগও পেয়েছি। সব বিষয়গুলি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।