পাবনা প্রতিনিধি।।
ক্ষমতার অপব্যবহার- অর্থ আত্মসাৎ- অনিয়ম দুণীতি ও ছাত্রীদের কু—প্রস্তাবসহ নানা অপকর্মের অভিযোগে পাবনার সাঁথিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দেবনাথের অপসারণের দাবীতে লাগাতার আন্দোলনের আজ ৯ম দিনেও বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষক- শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকগণ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ২ ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধনে দুপাশ থেকে রোড ব্লক করে দেয় শিক্ষার্থীরা। এতে প্রধান সড়কের দু’পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুভোর্গে পড়ে মানুষ। জনদুর্ভোগে পড়ে সড়কে চলাচলকারী স্থানীয়রা। কেউ এগিয়ে আসেনি। রাস্তা বন্ধ করে ২ ঘন্টা ব্যাপী পাওয়া গেছে।মানববন্ধন করলেও কোন পুলিশ বা উপজেলা প্রশাসনের কারও দেখা পাওয়া যায়নি।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, একজন পিতৃতুল্য শিক্ষক হয়ে কিভাবে আমার হাত ধেও বলে তোমার হাতের লোম কেমন দেখি্ পেটে হাত দিয়ে বলে আজ কি খেয়েছ।
জানা গেছে প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দেবনাথের অপসারণের দাবীতে গত ১৪ আগস্ট বুধবার থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে এবং বৃহস্পতিবার থেকে শিক্ষকেরাও তাদের সাথে আন্দোলনে শরীক হন।
ওই বিদ্যালয়ের ১৮জন শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ ম্যাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগও দেন ।
অপরদিকে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের ১দফা দাবী নিয়ে তারা গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর নানা অভিযোগসহ ৭ টি অনিয়ম উল্লেখ করে স্মারকলিপী প্রদান করে।
শিক্ষকেরা অভিযোগে জানান- বিগত শাসন আমলে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু জোরপূর্বক ও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আশির্বাদপুষ্ট হয়ে নিয়োগ লাভ করে প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দেবনাথ।
তিনি যোগদানের পর থেকেই বিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়ম- ক্ষমতার অপব্যবহার- ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়া- বিদ্যালয়ের পরিচালনায় অদক্ষতা- শিক্ষক- শিক্ষার্থী- অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার করা ও শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা- কোচিং বানিজ্যে ২০১২ লংঘন- প্রতিবাদী ছাত্র শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে হয়রানী ও নির্যাতন করাসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত তিনি।
ওই বিদ্যালয়ের কারিগরি শিক্ষক প্রকৌশলী জয়নুল আবেদীন বলেন- প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দেবনাথের চাকুরি বৈধ নয়। যার সাক্ষ্য প্রমান তিনি নিজে। এমন কুরুচিপূর্ণ শিক্ষক আমাদের দরকার নেই।
বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রুহুল আমিন জানান, অদক্ষ, কুরুচিপূর্ণ মানুষিকতায় নৈতিক অবক্ষয়ে জর্জড়িত অর্থআত্মসা্ৎকারী প্রধান শিক্ষকের অপসা্রন চাই। আমরা দীর্ঘদিন কোন প্রতিবাদ করতে পারিনী। প্রতিবাদ করতে গেলেই আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানী ও নির্যাতন করা হতো। আজ সময় এসেছে প্রতিবাদ করার।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দেবনাথের কার্যালয়ে গেলে তাঁকে পাওয় যায়নি। মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন- বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শিক্ষক- অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে বলেছি এবং আগামী তিন দিনের সময় চেয়েছি।
এর মধ্যে ব্যবস্থা একটা হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। তা ছাড়া্ শিক্ষকে্রা তো শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।