
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল , বিশেষ প্রতিনিধি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সোমবার রাতে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় একজন ব্যক্তিকে ট্র্যাফিক পুলিশের একজন সদস্য শান্ত করার প্রাণান্ত চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু সেই ব্যক্তি একজনকে উদ্দেশ্য করে দাম্ভিকতার সাথে ও হুমকির সুরে বলছেন, “ভদ্রভাবে কথা বলেন, পাটগ্রামে আর থাকা হবে না। গণআন্দোলন করবো গণআন্দোলন। আমার অনেক বন্ধু আছে এসপি আছে ডিআইজি আছে!” কিন্তু ভিডিওটির অফ স্ক্রিনে থাকা ব্যক্তির চেহারা দেখা যাচ্ছিল না। এমনকি তার কথাও স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হুমকিদাতা ওই ব্যক্তির নাম আবু সায়েম প্রধান শাহিন। তিনি লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারী হিসেবে কর্মরত। আর ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার -২০ মার্চ- দুপুরে পৌরসভার আন্তঃজেলা রোডের কালীমন্দির এলাকায় ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ট্র্যাফিক সার্জেন্ট সোহাগ ও ৩ ট্র্যাফিক পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেল আরোহী শাহীনসহ আরেকজন ব্যক্তির মাথায় হেলমেট না থাকায় তাদের আটক করেন ও তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চান। তখন শাহিন তাদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। পরে শাহিন ট্র্যাফিক সার্জেন্টসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের উপর ক্ষিপ্ত হন। এরপর এলাকাবাসী ও পাটগ্রামের ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর -টিআই- জিয়াউর রহমান তাকে শান্ত করতে যান। তখন তিনি টিআইকে ও অন্যান্য ট্র্যাফিক সদস্যদের উদ্দেশ্য করে হুমকি দেন।
এ বিষয়ে শাহিন জানান,, জরুরি ভিত্তিতে এক জায়গায় যাওয়ার কথা ছিল তার, সে সময় ট্র্যাফিক পুলিশ তার গাড়ি আটক করে। তখন কথা-কাটাকাটি হয়। এটি সামান্য ভুল বুঝাবুঝি ছিল। এ বিষয়ে মীমাংসা হয়ে গেছে।
এদিকে টিআই জিয়াউর রহমান বলেন, “ আমরা তাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে বলি। তখন তিনি রেগে গিয়ে আমাদের গালমন্দ করেন। এছাড়াও পুলিশের উপর মহলে ওনার বন্ধু-বান্ধব রয়েছে বলেও জানান। তিনি আমাদের পাটগ্রামে থাকতে দেবে না এমন হুমকি দেন। বিষয়টি আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতনদের অবগত করেছি।“
এদিকে ফেসবুকে ট্র্যাফিক পুলিশের সাথে শাহিনের এমন আচরণকে নেটিজেনরা খুবই অপ্রীতিকর ও আপত্তিজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।