
পলাশ হাওলাদার, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ।।
পটুয়াখালীর দশনিমায় গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি উঠেছে দশমিনা উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুর গ্রামের মো. ইউনুচ মল্লিক এর ছেলে মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে। এবিষয়ে (২ সেপ্টেম্বার ২০২২) সহকারী পুলিশ সুপার সারর্কেল গলাচিপা কার্যালয়ে মো. মুরাদ হোসেন বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, দশমিনা উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুর গ্রামের মো. ইউনুচ মল্লিক এর ছেলে মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের সুতাবারিয়া গ্রামের মৃত দেলওয়ার হোসাইন তালুকদারের মেয়ে নিশাত জাহানের সাথে ১৭ বছর আগে বিবাহ হয়। মনির ও নিশাত দম্পতির জীবন ভালোই কাটছিলো তাদের ঘরে দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত তিন বছর ধরে মনিরুজ্জামান মনির তার স্ত্রী নিশাত জাহানকে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিভিন্ন নির্যাতন করে আসছে।
এবিষয়ে মুরাদ হোসেন বলেন, আমার বোনের সাথে প্রায় দুই তিন বছর ধরে বোনের স্বামী মনিরুজ্জামান মনির মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার করে আসছে। সে অন্য নারীর সাথে পরকিয়ায় আসাক্ত হয়েছে। গত ১৬ই মে বোনকে মারধরের কথা শুনে আমি বোনের বাড়ি গেলে আমার বোনের জামাই মনিরুজ্জামান আমাকেও বেজায় মারধর করে আটকে রাখেন পরে আমি ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ এসে আমাকে ও আমার বোনকে উদ্ধার করে।
সরেজমিনে ভুক্তভোগী নিশাত জাহানের সাথে কথা বললে, তিনি বলেন আমার স্বামী আমাকে বেজায় মারধর করে, তার সাথে আমার শশুর, শাশুড়ী ও ননদেও মারে, আমার কাছথেকে মোবাইল নিয়ে গেছে যাতে আমি বাবার বাড়ি কথা বলতে না পারি। কিছুদিন আগে আমাকে আমর স্বামী মারধর করলে আমি অজ্ঞান হয়ে পরি। আমার ভাই খবর পেয়ে আসলে তাকেও মারধর করে আটকে রাখে তারপরে সে পুলিশকে ফোন করলে পুলিশ আমাদেরকে উদ্ধার করে। এই বিষয় নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে মিমাংসার জন্য বসাবসি হলেও এখনো কোন সমাধান হয়ানি। আমি এর সুষ্ট বিচার চাই এবং আমি আমার স্বামীর সাথে ভালোভাবে সংসার করতে চাই।
নিশাত জাহানের শশুর মো. ইউনুচ মল্লিক সাথে কথা বলে তিনি বলেন, আমি একজন সামাজিক লোক সমাজের বিভিন্ন সালিশ বিচার করে থাকি আমার পাচটি ছেলে মনিরুজ্জামান মনির আমার দ্বিতীয় ছেলে সবাই মোটামুটি ভাবে ভালোই সংসার করছে। সব ছেলেকে ভিন্ন ভিন্ন ঘর করে সব জায়গা জমি ভাগ করে দিয়েছি যে যার মতো করে থাকবে খাবে। তবে আমার মেঝ ছেলে মনিরের সাথে বছরতিন ধরে বৌয়ের সাথে ঝগড়া, কথা কাটাকাটি প্রায়ই লেগে থাকে আমি বহুবার মিমাংসা করার চেষ্টা করে আসছি। তবে আমার ছেলে বৌয়ের সাথে সংসার করতে চায় না। এনিয়েও তাকে দুইবার তালাকের নোটিশ পাঠায় কিন্তু আমি আমার ছেলেকে রাগারাগি করেছি সে বর্তমানে বাড়ি থেকে রাগ করে ঢাকায় আছে। আমি যখন যা পারি বৌকে দিয়ে দেই তবে আমার বিরুদ্ধে বৌয়ের অভিযোগ মিথ্যা।
এছাড়াও ভুক্তভোগী নিশাত জাহানের বড় ছেলে মো. মিরাজ মল্লিকের সাথে কথাবলে তিনি বলেন, আমার মা বাবার সাথে প্রায়ই ঝগড়া ঝাটি হয়ে থাকে বেশিই আমার মা আমার বাবার সাথে ডাকা ডাকি করে থাকে। আমার মা, আমার বাবাকে ও ছোট চাচিকে নিয়ে (পরকিয়ার) সন্দেহ করে এই নিয়েই বেশি ঝগড়া হয়।