ইসমাইল ইমন
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা ও সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সাংবাদিক অধিকার সুরক্ষায় মানববন্ধন আজ ২৭ অক্টোবর -রবিবার-বিকাল ৪ টায় চেরাগী মোড়ে সংগঠনের আহ্বায়ক কামরুল হুদার সভাপতিত্বে ও পরিষদের সদস্য সচিব এবিএম ইমরান’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি জাহিদুল করিম কচি- আইএইচআরসি’র প্রেসিডেন্ট ও বিএনপি নেতা এম এ হাশেম রাজু, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী- দৈনিক ভোরের ডাকের ব্যুরোচীফ কিরন শর্মা-এনডিএম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জনসংযোগ এবং সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ এমরান চৌধুরী- সাবেক মহানগর ছাত্র ও যুব নেতা সাজ্জাদ হোসেন ভুঁইয়া-নাগরিক ঐক্যের চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ম সমন্বয়ক মো: জামাল উদ্দিন, কোতোয়ালী থানা যুবদল’র মুহাম্মদ আলাউদ্দিন- আকবরশাহ থানা যুবদল মোহাম্মদ উমর ফারুক ভুঁইয়া-এনডিএম চট্টগ্রাম মহানগর সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম চৌধুরী, নুরুল হক মেম্বার, চাকতাই ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: বেলাল হোসেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর প্রচার সম্পাদক মাওলানা দ্বীন মোহাম্মদ রব্বানী ও মহানগর ছাত্র আন্দোলন’র সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাবু ও সাংবাদিক ইসমাইল ইমন।
বক্তারা বলেন, জিনিসপত্রের মূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং মূল্যবৃদ্ধির সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় তারা দেশ থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতি নির্মূল করে একটি স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠারও দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মডেল অনুসরণ করে দেশে একটি স্বচ্ছ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। দেশে সিন্ডিকেটভিত্তিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে লড়াই করতে একটি বিশেষ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান গঠন করতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানের কাজ হবে বাজারে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা এবং সিন্ডিকেট ভেঙে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। তারা বলেন, দেশে একটি প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে, যেখানে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ বা সিন্ডিকেটের স্থান থাকবে না। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতা এবং ন্যায্যতা নিশ্চিতে অ্যান্টি-ট্রাস্ট আইন করে, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়ম মোকাবিলায় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যাপক প্রচারাভিযান শুরু করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনগণের প্রতি আরও বেশি জবাবদিহিমূলক হতে হবে। দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন এবং মূল্যায়ন প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়মিতভাবে সম্পদের হিসাব প্রকাশের আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। এটি দুর্নীতি রোধের একটি কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। বিচার ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখতে হবে। বিচার ব্যবস্থাকেও সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে হবে। স্বাধীন গণমাধ্যমের মাধ্যমে দুর্নীতি এবং অনিয়ম তুলে ধরার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।