Dhaka , Monday, 10 November 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
বঙ্গোপসাগরে ভাসতে থাকা ১৩ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌবাহিনী কালিয়াকৈরে সাবেক মেয়র মজিবুর রহমানের সংবাদ সম্মেলন সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ক্বীনব্রীজ এলাকায় বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের ট্রফি উন্মোচন শরীয়তপুরে চোখ উপড়ে ফেলার নৃশংস ঘটনার শিকার রমজানের পাশে উপজেলা প্রশাসন কপিলমুনি ব্লাড ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন: সভাপতি রাজ, সম্পাদক রনি বিএনপির ৪০ জন নেতা কর্মী জামায়াতে যোগদানের অপপ্রচারের প্রতিবাদে পৌর বিএনপির সংবাদ সম্মেলন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদে ৭ দিনের আল্টিমেটাম ধানের শীষে ভোট দিন, এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব আমার :- ব্যারিস্টার মীর হেলাল রূপগঞ্জে দিপু ভুইয়ার নেতৃত্ত্বে লাখো জনতার শোভাযাত্রা নারায়ণগঞ্জ -১ ( রূপগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়ার নেতৃত্বে গণমিছিল বিএনপি পুনরায় দেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে : ড. মঈন খান লালমনিরহাটে বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে ৫০ বোতল ইস্কাফ সিরাপ জব্দ অবহেলিত পাইকগাছা-কয়রাকে রোল মডেল করতে চাই- বিএনপি প্রার্থী বাপ্পী রামুতে র‌্যাবের অভিযানে ১২ কেজি গাঁজাসহ দম্পতি আটক পটিয়ায় র‌্যাব-৭’র অভিযানে ৬০ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার ,আটক ৫ দলের নিবন্ধনের দাবিতে অনশনরত তারেককে সমর্থন ইশরাকের ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঈশ্বরদীতে জাকারিয়া পিন্টু’র বিশাল বর্ণাঢ্য র‍্যালি আগামী নির্বাচন সুস্থ ও গ্রহণযোগ্য করতে হলে শিক্ষকদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে ; শিক্ষক সমাবেশে বোরহান উদ্দিন সুবর্ণচরের শিক্ষার্থীদের সুপ্তমেধা বিকাশে গ্রীন ফিউচার স্কুল অ্যান্ড কলেজের পথ চলা শুরু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে জনগণের ঐক্য প্রয়োজন: অ্যাড এমরান টাঙ্গাইল -১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা ঘোষণা করলেন অব. কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদ কক্সবাজারের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে নারীর ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা ও জেলা নারী পরিষদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত ত্বকী হত্যা মামলায় ওসমান পরিবারকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্তির দাবি নারায়ণগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত দক্ষিণ রূপকানিয়ায় জামায়াতের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র উত্তরনই হবে বিপ্লবের সফলতা “লজিস্টিক্স সেক্টর বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল খাতগুলোর একটি”:- আশরাফুল ইসলাম মধুপুরে ফকির মাহবুব আনাম স্বপন মনোনয়ন পাওয়ায় শ্রমিকদলের শোভা যাত্রা অনুষ্ঠিত শার্শায় বিএনপির দলীয় প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তির সুধী সমাবেশ

দেবহাটার খলিশাখালিতে সেনাবাহিনীর অস্ত্র বিরোধী অভিযানে বিভিন্ন সারঞ্জাম উদ্ধার বিক্ষুব্ধ জনসাধারণের গনপিটুনিতে ডাকাত সদস্য নিহত গ্রেফতার-৬।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 01:57:13 pm, Friday, 1 November 2024
  • 116 বার পড়া হয়েছে

দেবহাটার খলিশাখালিতে সেনাবাহিনীর অস্ত্র বিরোধী অভিযানে বিভিন্ন সারঞ্জাম উদ্ধার বিক্ষুব্ধ জনসাধারণের গনপিটুনিতে ডাকাত সদস্য নিহত গ্রেফতার-৬।।

ইব্রাহীম হোসেন

দেবহাটা প্রতিনিধি।।

   

সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালি এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সময় গনপিটুনিতে কামরুল ইসলাম -৪০- এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি উপজেলার খলিশাখালি এলাকার মৃত আবু বকর গাজীর ছেলে। শুক্রবার ভোররাতে খলিশাখালির মৎস্যঘের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আরো ৬ ব্যক্তিকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে  বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সদস্যরা। 

অভিযানে আটককৃতরা হলেন শ্যামনগর  উপজেলার হাজিপুর গ্রামের নরিম সরদারের ছেলে নুরুজ্জামান, আশাশুনি উপজেলার শ্রীগঞ্জ গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে সোহেল- কালিগঞ্জ উপজেলার বাবুরাবাদ গ্রামের রুহুল আমিন গাজীর ছেলে মেহেরাব আলী- একই উপজেলার কাশিবাটি গ্রামের রুহুল আমিন সরদারের ছেলে হাসিবুল হাসান সবুজ- আকরাম গাজির ছেলে রবিউল আউয়াল- বদরতলা এলাকার জামিল ফকিরের ছেলে আবুল হোসেন। 

দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর মোহাম্মাদ জানান- খলিষাখালিতে ১ হাজার ৩শ- ২৮ বিঘা মৎস্যঘের নিয়ে বহুদিন ধরে দ্বন্দ বিরাজ করছিল। গত ৫ আগস্টের পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অবনতি হওয়ার সুযোগে খলিষাখালিতে অস্ত্র নিয়ে মৎস্যঘের দখলে নিতে বিভিন্ন সময় মহড়া দিতে থাকে। এতে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে খলিষাখালিতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ টি হাত বোমা- ৩০ টি ছোট হাতবোমাসহ বিভিন্ন দেশী অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করা হয়। 

সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক জানান- খলিশাখালি এলাকায় অস্ত্র- গোলাবারুদ- বোমা মজুদ রেখে মাছের ঘের দখল, এলাকায় ডাকাতি সহ নান অপরাধ করে আসছিল আকরাম হোসেন- আরিফুল ইসলাম পাড়- সাইফুল ইসলাম গাজী সহ তাদের বাহিনী।  সেই মোতাবেক দেবহাটার তিনটি অবস্থান থেকে এক সাথে অপারেশন পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে প্রথমে ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে। পরে দেশীয় বোমা এবং ককটেল বোমা ছুড়তে থাকে। এমনকি দুর থেকে আমাদের লক্ষ্য করে পাইপগান দিয়ে গুলি চালায়। এক পর্যায়ে স্থানীয় দেড় শতাধিক বাসিন্দারা কামরুল সহ কয়েকজনকে ধরে ফেলে। বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ ডাকাত কামরুলকে পিটুনি দেয় সেনা সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত কামরুল একজন দাগি অপরাধী এবং ডাকাত ছিলেন। অন্যান্য আটককৃত অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেবহাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় ৫টি রামদা- বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ৭৫০ গ্রাম বারুদ- ৪টি মোবাইল ফোন- ১৫টি হাত বোমা- ৭ প্যাকেট হাত বোমাই ব্যবহৃত স্প্রিন্টার, ৩৮ টি হাত বোমা উদ্ধার হয়েছে। 

তবে নিহতের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন জানান-তার স্বামীকে মৎস্যঘের থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য যে- বিগত ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর  রাতের আধারে মকরম শেখ, আকরাম হোসেন, আরিফুল ইসলাম পাড়- সাইফুল ইসলাম গাজী- কামরুল ইসলাম- রিপন হোসেন- গোপাল ঢালী- শরিফুল ইসলাম- আব্দুল গফুর- বাবলু গাজী, পুটু, রবিউল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম কালু, এসএম মহিউদ্দিন সহ আরও ৫০-৬০ জন লোক ওই এলাকার মৎস্য চাষকৃত জমি জবরদখল নেয় এবং কোটি টাকার উর্দ্ধে জমির মালিক এবং লীজ গ্রহিতারদের ক্ষতিগ্রস্থ করে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে সন্ত্রাসীরা ওই জমি দখলে নিতে এবং চাষকৃত মাছ লুট করার হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে গত ২ আক্টোবর মালিক ও লিজগ্রহীতারা সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তার কয়েকদিন যেতে না যেতে মৎস্যঘেরের কর্মচারীদের জিম্মি করে কয়েক দফায় মাছ লুটের ঘটনা ঘটে। 

তবে- পারুলিয়া মৌজার ৪৩৯.২০ একর সম্পত্তি সিএস ১৮১২ নং খতিয়ানে ১১১৭৫ দাগ সহ ২৭ টি দাগের উপর উল্লেখিত ৪৩৯,২০ একর জমির সিএস খতিয়ানের মালিক চন্ডিচরণ ঘোষ। সেখান থেকে ১৯৩৭ সালের ৪ পাট্টা-খাট্টা ও কবুলতি দলিল নং ৭৪৯ ও ৭৫০ এবং ১৯৩৭ সালের ১৭ এপ্রিল ৭৯৩ ও ৭৯৪ কোর্টের রায় অনুযায়ী নিলাম খরিদের মাধ্যমে পরবর্তীতে মালিক তেজেন্দ্র নাথ চৌধুরী গং -প্রজাবিলি সহ-। তৎপরবর্তীতে কলিকাতা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে ১৯৫৩ সালের ৪ মার্চ তারিখের ৬৯৪ নং বিনিময় দলিল মূলে মালিক হয়েন কাজী আব্দুল মালেক গং। উক্ত ৪৩৯.২০ একর সম্পত্তি ২৯৬২ থেকে ২৯৮০ মোট ১৯ টি খতিয়ানে কাজী আব্দুল মালেক গং- সহ প্রজাদের নামে এসএ রেকর্ড প্রকাশিত হয়। এসএ রেকর্ড পরবর্তী কাজী আব্দুল মালেকের মৃত্যুর পর ওয়ারেশ গণ এবং প্রজাদের নিকট থেকে ক্রমিক হস্থান্তর সূত্রে বর্তমান মালিক গন দলিল মূলে ক্রয় করে মিউটিশন এবং খারিজ খতিয়ানের দ্বারা মালিকরা নিয়মিত সরকারের করাদি পরিশোধ করেন। যা ৬০ বছর উর্দ্ধেকাল ভোগদখল করছেন ওই ব্যক্তিরা। পরবর্তীতে সেটেলমেন্ট জরিপে মাঠ পর্চা এবং প্রিন্ট পর্চার মাধ্যমে গেজেট এবং সে অনুযায়ী সরকারের হালনাগাদ অর্থাৎ বাং-১৪৩০- ১৪৩১ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত করাদি পরিশোধ করেন তারা। উক্ত সম্পতি কোন সময় শত্রু সম্পতি বা ভেস্টেট সম্পত্তি কিংবা ক -বা -খ- তপশীলভূক্ত হয়নি। এসএ রেকর্ড পরবর্তী মোট সম্পত্তির মধ্যে ৮-১০ একর সম্পত্তি এসএ রেকর্ড মালিকগণ সিলিং বর্হিভূত সম্পত্তি হিসেবে সরকারের নিকট সারেন্ডার করেন এবং পিও ৯৮ এর আওতায় সরকার খাস করে। দারিদ্র পরিবারের মধ্যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রদান করেন। বিএস রেকর্ডে তাদের নাম গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে উক্ত ৪৩৯.২০ একর জমির মধ্যে মাত্র ১২.৫৫ একর সম্পত্তি জমির মালিকদের পানি নিস্কাশনের জন্য খাল হিসেবে রেকর্ডভূক্ত হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বঙ্গোপসাগরে ভাসতে থাকা ১৩ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌবাহিনী

দেবহাটার খলিশাখালিতে সেনাবাহিনীর অস্ত্র বিরোধী অভিযানে বিভিন্ন সারঞ্জাম উদ্ধার বিক্ষুব্ধ জনসাধারণের গনপিটুনিতে ডাকাত সদস্য নিহত গ্রেফতার-৬।।

আপডেট সময় : 01:57:13 pm, Friday, 1 November 2024

ইব্রাহীম হোসেন

দেবহাটা প্রতিনিধি।।

   

সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালি এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সময় গনপিটুনিতে কামরুল ইসলাম -৪০- এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি উপজেলার খলিশাখালি এলাকার মৃত আবু বকর গাজীর ছেলে। শুক্রবার ভোররাতে খলিশাখালির মৎস্যঘের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আরো ৬ ব্যক্তিকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে  বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সদস্যরা। 

অভিযানে আটককৃতরা হলেন শ্যামনগর  উপজেলার হাজিপুর গ্রামের নরিম সরদারের ছেলে নুরুজ্জামান, আশাশুনি উপজেলার শ্রীগঞ্জ গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে সোহেল- কালিগঞ্জ উপজেলার বাবুরাবাদ গ্রামের রুহুল আমিন গাজীর ছেলে মেহেরাব আলী- একই উপজেলার কাশিবাটি গ্রামের রুহুল আমিন সরদারের ছেলে হাসিবুল হাসান সবুজ- আকরাম গাজির ছেলে রবিউল আউয়াল- বদরতলা এলাকার জামিল ফকিরের ছেলে আবুল হোসেন। 

দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর মোহাম্মাদ জানান- খলিষাখালিতে ১ হাজার ৩শ- ২৮ বিঘা মৎস্যঘের নিয়ে বহুদিন ধরে দ্বন্দ বিরাজ করছিল। গত ৫ আগস্টের পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অবনতি হওয়ার সুযোগে খলিষাখালিতে অস্ত্র নিয়ে মৎস্যঘের দখলে নিতে বিভিন্ন সময় মহড়া দিতে থাকে। এতে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে খলিষাখালিতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ টি হাত বোমা- ৩০ টি ছোট হাতবোমাসহ বিভিন্ন দেশী অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করা হয়। 

সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক জানান- খলিশাখালি এলাকায় অস্ত্র- গোলাবারুদ- বোমা মজুদ রেখে মাছের ঘের দখল, এলাকায় ডাকাতি সহ নান অপরাধ করে আসছিল আকরাম হোসেন- আরিফুল ইসলাম পাড়- সাইফুল ইসলাম গাজী সহ তাদের বাহিনী।  সেই মোতাবেক দেবহাটার তিনটি অবস্থান থেকে এক সাথে অপারেশন পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে প্রথমে ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে। পরে দেশীয় বোমা এবং ককটেল বোমা ছুড়তে থাকে। এমনকি দুর থেকে আমাদের লক্ষ্য করে পাইপগান দিয়ে গুলি চালায়। এক পর্যায়ে স্থানীয় দেড় শতাধিক বাসিন্দারা কামরুল সহ কয়েকজনকে ধরে ফেলে। বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ ডাকাত কামরুলকে পিটুনি দেয় সেনা সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত কামরুল একজন দাগি অপরাধী এবং ডাকাত ছিলেন। অন্যান্য আটককৃত অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেবহাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় ৫টি রামদা- বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ৭৫০ গ্রাম বারুদ- ৪টি মোবাইল ফোন- ১৫টি হাত বোমা- ৭ প্যাকেট হাত বোমাই ব্যবহৃত স্প্রিন্টার, ৩৮ টি হাত বোমা উদ্ধার হয়েছে। 

তবে নিহতের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন জানান-তার স্বামীকে মৎস্যঘের থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য যে- বিগত ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর  রাতের আধারে মকরম শেখ, আকরাম হোসেন, আরিফুল ইসলাম পাড়- সাইফুল ইসলাম গাজী- কামরুল ইসলাম- রিপন হোসেন- গোপাল ঢালী- শরিফুল ইসলাম- আব্দুল গফুর- বাবলু গাজী, পুটু, রবিউল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম কালু, এসএম মহিউদ্দিন সহ আরও ৫০-৬০ জন লোক ওই এলাকার মৎস্য চাষকৃত জমি জবরদখল নেয় এবং কোটি টাকার উর্দ্ধে জমির মালিক এবং লীজ গ্রহিতারদের ক্ষতিগ্রস্থ করে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে সন্ত্রাসীরা ওই জমি দখলে নিতে এবং চাষকৃত মাছ লুট করার হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে গত ২ আক্টোবর মালিক ও লিজগ্রহীতারা সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তার কয়েকদিন যেতে না যেতে মৎস্যঘেরের কর্মচারীদের জিম্মি করে কয়েক দফায় মাছ লুটের ঘটনা ঘটে। 

তবে- পারুলিয়া মৌজার ৪৩৯.২০ একর সম্পত্তি সিএস ১৮১২ নং খতিয়ানে ১১১৭৫ দাগ সহ ২৭ টি দাগের উপর উল্লেখিত ৪৩৯,২০ একর জমির সিএস খতিয়ানের মালিক চন্ডিচরণ ঘোষ। সেখান থেকে ১৯৩৭ সালের ৪ পাট্টা-খাট্টা ও কবুলতি দলিল নং ৭৪৯ ও ৭৫০ এবং ১৯৩৭ সালের ১৭ এপ্রিল ৭৯৩ ও ৭৯৪ কোর্টের রায় অনুযায়ী নিলাম খরিদের মাধ্যমে পরবর্তীতে মালিক তেজেন্দ্র নাথ চৌধুরী গং -প্রজাবিলি সহ-। তৎপরবর্তীতে কলিকাতা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে ১৯৫৩ সালের ৪ মার্চ তারিখের ৬৯৪ নং বিনিময় দলিল মূলে মালিক হয়েন কাজী আব্দুল মালেক গং। উক্ত ৪৩৯.২০ একর সম্পত্তি ২৯৬২ থেকে ২৯৮০ মোট ১৯ টি খতিয়ানে কাজী আব্দুল মালেক গং- সহ প্রজাদের নামে এসএ রেকর্ড প্রকাশিত হয়। এসএ রেকর্ড পরবর্তী কাজী আব্দুল মালেকের মৃত্যুর পর ওয়ারেশ গণ এবং প্রজাদের নিকট থেকে ক্রমিক হস্থান্তর সূত্রে বর্তমান মালিক গন দলিল মূলে ক্রয় করে মিউটিশন এবং খারিজ খতিয়ানের দ্বারা মালিকরা নিয়মিত সরকারের করাদি পরিশোধ করেন। যা ৬০ বছর উর্দ্ধেকাল ভোগদখল করছেন ওই ব্যক্তিরা। পরবর্তীতে সেটেলমেন্ট জরিপে মাঠ পর্চা এবং প্রিন্ট পর্চার মাধ্যমে গেজেট এবং সে অনুযায়ী সরকারের হালনাগাদ অর্থাৎ বাং-১৪৩০- ১৪৩১ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত করাদি পরিশোধ করেন তারা। উক্ত সম্পতি কোন সময় শত্রু সম্পতি বা ভেস্টেট সম্পত্তি কিংবা ক -বা -খ- তপশীলভূক্ত হয়নি। এসএ রেকর্ড পরবর্তী মোট সম্পত্তির মধ্যে ৮-১০ একর সম্পত্তি এসএ রেকর্ড মালিকগণ সিলিং বর্হিভূত সম্পত্তি হিসেবে সরকারের নিকট সারেন্ডার করেন এবং পিও ৯৮ এর আওতায় সরকার খাস করে। দারিদ্র পরিবারের মধ্যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রদান করেন। বিএস রেকর্ডে তাদের নাম গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে উক্ত ৪৩৯.২০ একর জমির মধ্যে মাত্র ১২.৫৫ একর সম্পত্তি জমির মালিকদের পানি নিস্কাশনের জন্য খাল হিসেবে রেকর্ডভূক্ত হয়েছে।