
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ভুলতা-মুড়াপাড়া সড়কটি যেন দূর্ভোগের নিত্যসঙ্গী।
উপজেলার জনগুরুত্বপুর্ণ এই সড়কটি যান চলাচল তো দুরের কথা হেটে চলাই দুস্কর । বর্ষাকালে মনে হত এটি সড়কপথ না নৌ-পথ।
ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কটি চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসী বলেন,রূপগঞ্জের ভুলতা ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়নে শতাধিক মানুষের একমাত্র চলাচলে রাস্তা এটি। নিত্য প্রয়োজনে এ সড়ক দিয়ে উপজেলা কমপ্লেক্স, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,রূপগঞ্জ থানা ও সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস,উপজেলা ভূমি অফিস,সরকারি মুড়াপাড়া কলেজে আসা যাওয়া করে থাকেন। কিন্তু সড়কটি ভাঙ্গাচুরা হওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের ।
অথচ এই সরকারের আমলে রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজারে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু ভুলতা-মুড়াপাড়া সড়কের বেহাল দশায় সরকারের এখানকার সকল উন্নয়ন ভেস্তে যেতে বসেছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সড়কের অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। কার্পেটিং ওঠে যাওয়া অংশে ইটের সলিং করে জোড়াতালি দিয়ে কোনো রকম সড়কটি চালু রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই জমে থাকে পানি। ফলে বেহাল এই সড়কে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।
পাড়াগাঁও গ্রামের ইকবাল হোসেন বলেন, ভুলতা-মুড়াপাড়া সড়কের কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় সড়কটি খানা খন্দে পরিণত হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ।
আড়াইহাজার উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের মিলি বেগম বলেন, যানবাহন চলাচলের সময় গর্তের কাঁদা পানি ছিটে পড়ায় নোংরা হচ্ছে পোশাক।
ট্রাক চালক আবজাল বলেন,লুনা পলিমার ইন্ড্রাষ্টিজ লিমিটেড সড়কের পাড়াগাঁও এলাকায় বাঁধ দেওয়ায় পানি নিস্কাশনের পাইপ লাইন বন্ধ হয়ে যায়। তাতে সৃষ্টি হয় এই জলাবদ্ধতা। সড়কে জমে থাকা পানির ভিতর খানাখন্দ না দেখায় প্রতিনিয়ত আটকে পড়ছে যানবাহন এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
লুনা পলিমার ইন্ড্রাষ্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সড়কের পানি নিষ্কাশন বন্ধে কোনো বাঁধ দেয়া হয়নি। তবে কেউ বাঁধ দিয়ে থাকলে তা দ্রুত সরিয়ে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রূপগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, ভুলতা-মুড়াপাড়া সড়কের সংস্কার কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। শিগগিরই সড়কের সংস্কার কাজ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সামিউল কাদের খান বলেন, ভুলতা-মুড়াপাড়া সড়কটি কিছু দিন পরপর সংস্কার কাজ করা হলেও সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় তা বিনষ্ট হয়েছে যাচ্ছে। সড়কের আশপাশের শিল্প প্রতিষ্ঠান ও লোকজন সড়কের পানি নিস্কাশনের ড্রেন বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় জটিলতা বাড়ছে। তবে আগামী দুই/তিন মাসের মধ্যে ভুলতা থেকে মুড়াপাড়ার মঙ্গলখালী পর্যন্ত চার কিলোমিটার তিন’শ ফুট দৈর্ঘের এ সড়ক আরসিসি করে পুনরায় নির্মাণ করা হবে। সড়কের বাকি অংশ পরবর্তীতে নির্মাণ করা হবে।