এম আবু হেনা সাগর- ঈদগাঁও।।
অস্তিত্ব সংকট আর দূষণের কবলে পড়েছে ঈদগাঁও মাইজ পাড়ার খালটি। বর্তমানে খালের উপর পাকা দালান ও দোকান পাট নির্মাণের হিড়িক চলছে। সুদীর্ঘ দশ বছরেও খালটি খননে কোনভাবে আলোর মুখ দেখেনি। দ্রত খননের দাবী জানান এলাকার লোকজন। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে খালের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা।
গ্রাম্য প্রবীণরা জানান, এ খাল দিয়ে একসময় পাল তোলা নৌকা চলাচল করত। কিন্তু সময় ও সুযোগে কালো থাবায় এখন অস্তিত্ব বিলুপ্তির পথে। এমনকি চলছে একের পর এক খাল দখলের মহোৎসব। কালের পরিক্রমায় সেই নদীর বুকে এখন পাকা-আধাপাকা দালানের মহাসমারোহ। অনেক ক্ষেত্রে দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এটি এক সময় নদী বা খাল ছিল। একের পর এক দখলের কারণে খাল এখন নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। খাল দখল করে দু’তীর ভরাট করে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ চলছে। যেন দেখার কেউ নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যত প্রজন্ম জানতেই পারবে না এখানে একটি খাল ছিল।
দেখা যায়- ঈদগাঁও মেহের ঘোনা জলনাসী যেটি উত্তর, মধ্যম ও দক্ষিন মাইজ পাড়া হয়ে চৌফলদন্ডীর বুক চিরে মহেশখালী চ্যানেল দিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিলিত হয়েছে। এখন খাল বেদখল, পানি ও মাছ শূন্য। ক্ষীণ ধারা বয়ে যাওয়া খালের এক ধারে এখন গড়া দোকান পাট ও পাকা দালান। ঈদগাঁওয়ের মাইজ পাড়ার খালটি ভরাট বললে চলে। কেউ করেছে খালের নিকটস্থ দালান, আবার কেউ করেছে দোকান ঘর। ফলে ঐ খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া এখন মহা মুশকিল। তেমনি করে ঈদগাঁওর বৃহৎ মাইজ পাড়ার খালটি দখলের থাবায় গড়ে উঠছে নতুন নতুন স্থাপনা। অন্যদিকে খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে দু’কূল ছাপিয়ে পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়ে হাটাচলাতো দুরের কথা- ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে।
জানা যায়, মাইজপাড়ার ঐতিহ্যবাহী খালটি সংস্কারের লক্ষ্যে দীর্ঘকাল ধরে স্থানীয় সাবেক মেম্বার ছুরুত আলমসহ কজন নানা মহলে জোর লবিং শুরু করেছিলেন বহুপূর্বে। তারই ধারাবাহিকতার দীর্ঘবছর পর বিএডিসির দু’কর্মকতা ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি ঈদগাঁও উত্তর মাইজপাড়া মোহাম্মদ হোসনের বাড়ী হতে মধ্যম-দক্ষিন মাইজ হয়ে জালালাবাদের পালাকাটা ঘুমগাছতলা পর্যন্ত খালটি পরিদর্শনও করেছিলেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে- মাইজ পাড়ার খালটি খনন করার মাঝ অংশে এসে খালের দু-পাড়ের মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এই নিয়ে এলাকার লোকজন বর্ষাকালীন বৃষ্টিপাত আর বন্যা হলে পানি খাল দিয়ে সুষ্ঠুভাবে যাতায়াত করতে না পারায় খালের পার্শ্ববর্তী বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ে।
মেম্বার বজলুর রশিদ জানান, বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের সুবিধার্থে খালটি খনন জরুরী।