তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাসে স্বামীর বাড়িতে শুকতারা বেগম (২৬) নামের এক গৃহ বধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ঘাতক স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাত অনুমানিক দুইটার দিকে উপজেলা মঙ্গলকান্দি গ্রামে ঘতক রাজনের বাড়িতে।নিহতের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।পারিবারিক সুত্রে জানাযায়, অভিযুক্ত রাজন তিতাস থানার ফর্মার ও তার বাবা জয়নাল আবেদীন ডোমার বলে নিহতের পরিবারকে মামলা না করার জন্য নানান রকমের হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে জানান নিহতের পরিবার। তারা আরও বলেন,আত্মহত্যা নয় শুকতারাকে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।নিহতের ছেলে শাহনেওয়াজ (৯) ও শিশু মেয়ে মানছুরা (৩) বলেন,তাদের বাবা রাজন ডেকসেটের ভলিউম বাড়িয়ে গান শুনছিলেন এ সময় নিহত শুকতারা বলেন, আমি ঘুমোচ্ছি ভলিউম কমিয়ে দাও। এ নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ঘাতক রাজন প্রথম সুকতারাকে নাকেমুখে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি তার পার বেল্ট দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে।নিহতের বাবা তারাজ মিয়া ও তার ভাই বলেন,আমাদের প্রতিবেশী রাজনের সাথে বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে পান থেকে চুন খসার মতো কিছু ঘটলেই মাদকাসক্ত স্বামী রাজন মারধর করতো শুকতারাকে। বৃহস্পতিবার সকালে শুকতারার শ্বাশুড়ি আমাকে বলে আমার মেয়ে শুকতারাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, কিন্তু কি কারণে সে কিছু না বলেই পালিয়েছে। তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে আর বেছে নেই। এলাকাবাসী জানান,শুকতারা আত্নহত্যা করলে আমরা সাবাই দেখতাম,কিন্তু কখন ফাঁস দিল আর কখন হাসপাতালে নিল তা আমরা কেউই দেখিনি, পুরো বিষয়টি আমাদের কাছে রহস্যময় বলে মনে হয়।গোপন আরেকটি সুত্র থেকে জানাযায়, শুকতারাকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে তার স্বামী রাজনের হাতে থাকা শিকল দিয়ে গলায় ফাস লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছে।এ ব্যাপারে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মরদেহে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পিএম রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে ডোমার জয়নাল ও তা ছেলে রাজনের বিরুদ্ধে অনেক মৌখিক অভিযোগ আমি শুনেছি। ঘটনার পর থেকে জয়নালাকে থানায় দেখা যাচ্ছেনা।