
তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাসের কলাকান্দি ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজিতে চাউল বিতরণে অনিয়ম ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নে।ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে চাউলের ডিলার ও কলাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.ছাবিকুল ইসলামের শশুর বাড়ি থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১ বস্তা চাউল পাওয়ার পরই ঘরটিকে সিলগালা করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটি এম মোর্শেদ।গতকাল মঙ্গলবার
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড তথা একই গ্রামের মতিউর রহমান,মো.কাইয়ুম,আবদুল আজিজ, আঞ্জুমান বেগম ও মিনরা বেগমরা জানান,আমাদের নাম
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় থাকা স্বত্ত্বেও বিগত ৫ বছর যাবৎ আমরা কোন প্রকার খাদ্য সহায়তা পাই নাই। আমরা বার বার ডিলার ছাবিকুলের কাছে গেলেও তিনি এমাসে নয়,আগামী মাসে বলে আমাদেরকে হয়রানি করছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাবিকুলের এক কার্ডধারী প্রতিবেশী জানান,আমার কাছে ১৫ টাকা কেজি দরের চাউল ৩০ টাকা করে নিয়েও সে ৩০ কেজির জায়গায় ২৫/২৬ কেজি করে চাউল দিয়েছে।আমি তার কারণ জানতে চাইলে সে আমার কার্ড বাতিল করে দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে।স্থানীয় এক মুরব্বি জানান,ছাবিকুল ইসলাম বিএনপির রাজনীতি করেও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বাহারের মাধ্যমেই সে বর্তমান সরকারের
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাউলের ডিলারশিপটি নিতে পেরেছেন।আজকে যদি আ.লীগের কোনো কর্মীকে এই ডিলার শিপটি দিতেন, তাহলে এই ধরনের অনিয়ম হতো না।তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।এব্যাপারে কলাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো.ইব্রাহিম সরকার বলেন,ডিলার ছাবিকুল তার শাশুড়ীর কার্ড দেখিয়ে বস্তার বস্তার চাউল সরিয়েছে,অথচ তার শাশুড়ীর কার্ড ডিলার ছাবিকুলের আওতায় নয়,অন্য ডিলারের আওতায়।আমার কাছে তার বিরুদ্ধে ওজন কম দেয়াসহ বাহিরে চাউল বিক্রি ও স্বজন প্রীতি করেছে এমন অনেক অভিযোগ আছে।কলাকান্দি ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছাবিকুল ইসলাম বলেন,আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করা হচ্ছে,আমি তার সাথে জড়িত না।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটি এম মোর্শেদ জানান,খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১ বস্তা চাউল ডিলার ছাবিকুলের শশুর বাড়ির ঘর থেকে পাই। তাৎক্ষণিক ভাবে ঘরটিকে সিলগালা করে দেই।এখানে ওজনে কম দেওয়ার, বাহিরে বিক্রি ও স্বজন প্রীতি করার কোন সুযোগ নেই। তার বিরুদ্ধে মৌখিক অনেক অভিযোগ রয়েছে, এব্যাপারে যদি হাতে কোন লিখিত অভিযোগ পাই তার ডিলারশিপ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।