Dhaka , Sunday, 22 June 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
রাস্তার অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করায় সাংবাদিকদের মে’রে ফেলার হু’মকি দিলেন চেয়ারম্যান ২৫ কুড়িগ্রাম ১ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী জনসেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ডা. ইউনুছ আলী লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের লক্ষাধিক খেজুর বীজ রোপণ কর্মসূচি  বিশ্ব সঙ্গীত দিবস উপলক্ষে গোপালপুরে জাসাসের সঙ্গীত সন্ধ্যা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিদ্যু’ৎস্পৃ’ষ্ট হয়ে গৃহবধূর মৃ’ত্যু টেলিগ্রামে প্রে’ম: নোয়াখালীর মাদরাসা ছা’ত্রীকে পতিতালয়ে বি’ক্রি সদরপুরে স্ত্রীর মা’মলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আ’টক পাইকগাছায় তিন দিনব্যাপী ফল মেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত  স্কটিশ পার্লামেন্ট‌ে একটি সর্বদলীয় ঈদুল আজহার অভ্যর্থনা অনু‌ষ্ঠিত হাবিবুল হক শিক্ষা তহবিলের সহযোগিতায় মিশুক বিশ্বাসের স্বপ্নযাত্রা লালমনিরহাটে পুলিশের পৃথক অভিযানে ১২.৫ কেজি গাঁ’জাসহ গ্রে’প্তার ৩ তারেক রহমানের ৩১ দফা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সনদ – এস এম জিলানী চাঁ’দাবা’জ স’ন্ত্রাসী’দের কবল থেকে রক্ষার দাবি এলাকাবাসীর রূপগঞ্জে ওলামা দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত  রংপুর থেকে ২০ কেজি গাঁ’জাসহ লালমনিরহাটের দুই মা’দক কারবারি গ্রে’প্তার  নোয়াখালীতে চো’রকে চিনে ফেলায় না’রীকে জ’বাই করে হ’ত্যা,গ্রে’প্তার-২ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মা’মলার যুবলীগ নেতা রবিন গ্রে’ফতা’র কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী ৩২ বছরের ছমির এখনো শিশু, দু’শ্চি’ন্তায় পরিবার আশুলিয়ায় না’রী যা’ত্রীকে জি’ম্মি করে ছি’নতাই, গ্রে’প্তার ২ নাটোরে বাস-সিএনজি সং’ঘ’র্ষে জাবি শিক্ষার্থীসহ নি’হত ৪ উখিয়ায় একসাথে চার স’ন্তান জ’ন্ম দু’দিনের ব্যবধানে এ’কে এ’কে মৃ’ত্যু মোংলায় কবি রুদ্রের প্রয়াণ দিবসে শোক র‌্যালি লালমনিরহাটের একজন মা’দক কা’রবা’রি গ্রে’প্তার করেছে ডিবি এসএমপি ডিবির পৃথক অভিযানে আ’বাসিক হোটেলে অ’নৈতি’ক কাজে জ’ড়িত থাকার অ’ভিযো’গে ১০ (দশ) জন গ্রে’ফতার নলছিটিতে জমি বি’রোধে শি’ক্ষিকাকে মা’রধ’র, মা’মলা করার পর পরিবারকে হ’ত্যার হু’মকি রাজাপুরে জমি সং’ক্রা’ন্ত বি’রো’ধের জেরে হা’মলা, থা’নায় জি’ডি সড়কের দু’পাশ দ’খলে নিয়ে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় ভ্রাম্যমাণ আ’দালতের জ’রিমা’না নোয়াখালীতে সিঁধ কে’টে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধা না’রীকে গ’লা কে’টে হ’ত্যা রাজাপুরে জমি দ’খলে’র চেষ্টার অভিযোগ, হা’মলার ঘট’নায় উত্তেজনা আগামী নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু হবে, যৌক্তিক সময়েই হবে : পাবনায় রিজভী

তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আট লক্ষ টাকার ঔষধ গায়েব : তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 11:26:33 pm, Thursday, 15 December 2022
  • 109 বার পড়া হয়েছে

তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আট লক্ষ টাকার ঔষধ গায়েব : তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন।

মোঃ সৌরভ হোসাইন (সবুজ)

স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ।।

 

 

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আট লক্ষ টাকা মূল্যমানের ঔষধ গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলে, তাদের প্রতিবেদনে ঔষধ চুরির ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ইতোমধ্যেই একটি মহল চুরির ঘটনা চাপা দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে হাসপাতালের জন্য ঔষধ,সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি,গজ ব্যান্ডেজ তুলা ও আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য ৪৩ লাখ টাকার কার্যাদেশ পায় ৪টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সে অনুযায়ি ওই চারটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে মালামাল সরবরাহ করে যথারীতি বিল উত্তোলন করে নিয়ে যায়। এরমাঝে আমেনা ট্রেডার্স ও এ,এ এন্টারপ্রাইজ কর্তৃক সরবরাহকৃত মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ৫২ হাজার পাঁচ ৮৪ পিস ঔষধ হাসপাতালের স্টোর থেকে গায়েব হয়ে যায়। যায় বাজার মূল্য প্রায় আট লাখ ৩২ হাজার টাকা।
সম্প্রতি হাসপাতালের স্টোর স্থানান্তরিত হলে, সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: মোনোয়ার হোসেনের দৃষ্টিতে ঔষুধ চুরির ঘটনাটি প্রথমে ধরা পরে। এ তথ্য নিশ্চিত করে ওই কর্মকর্তা জানান,ঘটনাটি জানার পরপরই তিনি ডা: জহুরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই তদন্ত কমিটি প্রধান ডা: জহুরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে তদন্ত করতে গিয়ে, ঔষুধের হাল নাগাদ প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পায়।
তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য থেকে জানা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উল্লেখিত ঔষুধ সরবরাহের পর স্টোরকিপার(ভান্ডার রক্ষক) মো: শাহাদৎ হোসেন আউটডোর-ইনডোর,জরুরি বিভাগ ও সাব সেন্টারের কোথাও ওই ঔষুধ সরবরাহ করেননি। যার ফলে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীরা মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ঔষধ থেকে সম্পূর্ণরুপে বঞ্চিত হয়েছেন। এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধান করা হয়। সেখানে উঠে আসে ঔষুধ চুরির ঘটনার নানা অসঙ্গতির চিত্র।
নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা মালামাল বুঝে নিবেন হাসপাতালের সার্ভে কমিটি। পরবর্তীতে আউটডোর-ইনডোর,জরুরি বিভাগ ও সাব সেন্টারের চাহিদা মোতাবেক হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষের নির্দেশে ঔষুধ সরবরাহ করবেন স্টোর কিপার। কিন্তু এখানে সে নিয়মের সম্পূর্ণ ব্যত্যয় ঘটেছে । এ বিষয়ে স্টোরকিপার(ভান্ডার রক্ষক) মো: শাহাদৎ হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এখনো মালামাল দেয়নি। তবে দুএক সপ্তাহের মধ্যে তারা ঔষধ সরবরাহ করবে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো: আবিদ হাসানের দাবী, তারা মালামাল সরবরাহ করা পর স্টোর কিপার মো: শাহাদৎ হোসেন একটি ঔষুধ প্রাপ্তি স্বীকার পত্রে স্বাক্ষর করে দেন। যা তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবার পরই, তার বিল প্রদান করেন।
কিন্তু পুরো প্রক্রিয়ায় মাঝে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। নিয়ম অনুযায়ী ঔষধ বুঝে পাওয়ার পর সার্ভে কমিটি রিপোর্ট দিবেন। সে আলোকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে বিল দিবেন। কিন্তু এখানে সে নিয়ম মানা হয়নি। সার্ভে কমিটির রিপোর্ট ছাড়াই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিল পরিশোধ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: মোনোয়ার হোসেনে বলেন, স্টোর কিপারের ঔষুধপ্রাপ্তির স্বীকারপত্র পাওয়ার পরই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে বিল পরিশোধ করা হয়েছে। সার্ভে কমিটির রিপোর্ট ছাড়া বিল কেনো দিলেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জুন ক্লোজিংয়ের ব্যস্ততায় সরল বিশ্বাসে আমি বিল দিয়েছি। তদন্ত কমিটি স্টোর কিপার কে একমাসের সময় দিয়েছে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য।
এ দিকে ফার্মেসী বিভাগের প্রধান মো: মিজানুর রহমান ও সিস্টার ইনচার্জ মো: আরিফুল ইসলাম বলেন, তারা এ অর্থ বছরে কোনো প্রকার মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ঔষধ বুঝে পাননি। যারফলে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের তারা এ গ্রুপের কোনো ঔষধ সরবরাহ করতে পারেননি।
এদিকে একটি অসমর্থিত সূত্রের থেকে জানা যায়, ঔষধ চুরির ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর, স্থানীয় রাজনৈতিক মদদপুষ্ট একাধিক সুবিধাবাদী গ্রুপ ঘটনাটি চাপা দেয়ার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন। হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শুধু মাত্র মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ঔষধ নয়, নিবির তদন্ত হলে ঔষধসহ অন্যান্য মালামালের অসঙ্গতিও ধরা পরবে।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা: রামপদ রায় বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বেশি আমি মন্তব্য করতে পারবো না।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

রাস্তার অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করায় সাংবাদিকদের মে’রে ফেলার হু’মকি দিলেন চেয়ারম্যান

তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আট লক্ষ টাকার ঔষধ গায়েব : তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন।

আপডেট সময় : 11:26:33 pm, Thursday, 15 December 2022

মোঃ সৌরভ হোসাইন (সবুজ)

স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ।।

 

 

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আট লক্ষ টাকা মূল্যমানের ঔষধ গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলে, তাদের প্রতিবেদনে ঔষধ চুরির ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ইতোমধ্যেই একটি মহল চুরির ঘটনা চাপা দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে হাসপাতালের জন্য ঔষধ,সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি,গজ ব্যান্ডেজ তুলা ও আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য ৪৩ লাখ টাকার কার্যাদেশ পায় ৪টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সে অনুযায়ি ওই চারটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে মালামাল সরবরাহ করে যথারীতি বিল উত্তোলন করে নিয়ে যায়। এরমাঝে আমেনা ট্রেডার্স ও এ,এ এন্টারপ্রাইজ কর্তৃক সরবরাহকৃত মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ৫২ হাজার পাঁচ ৮৪ পিস ঔষধ হাসপাতালের স্টোর থেকে গায়েব হয়ে যায়। যায় বাজার মূল্য প্রায় আট লাখ ৩২ হাজার টাকা।
সম্প্রতি হাসপাতালের স্টোর স্থানান্তরিত হলে, সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: মোনোয়ার হোসেনের দৃষ্টিতে ঔষুধ চুরির ঘটনাটি প্রথমে ধরা পরে। এ তথ্য নিশ্চিত করে ওই কর্মকর্তা জানান,ঘটনাটি জানার পরপরই তিনি ডা: জহুরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই তদন্ত কমিটি প্রধান ডা: জহুরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে তদন্ত করতে গিয়ে, ঔষুধের হাল নাগাদ প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পায়।
তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য থেকে জানা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উল্লেখিত ঔষুধ সরবরাহের পর স্টোরকিপার(ভান্ডার রক্ষক) মো: শাহাদৎ হোসেন আউটডোর-ইনডোর,জরুরি বিভাগ ও সাব সেন্টারের কোথাও ওই ঔষুধ সরবরাহ করেননি। যার ফলে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীরা মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ঔষধ থেকে সম্পূর্ণরুপে বঞ্চিত হয়েছেন। এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধান করা হয়। সেখানে উঠে আসে ঔষুধ চুরির ঘটনার নানা অসঙ্গতির চিত্র।
নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা মালামাল বুঝে নিবেন হাসপাতালের সার্ভে কমিটি। পরবর্তীতে আউটডোর-ইনডোর,জরুরি বিভাগ ও সাব সেন্টারের চাহিদা মোতাবেক হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষের নির্দেশে ঔষুধ সরবরাহ করবেন স্টোর কিপার। কিন্তু এখানে সে নিয়মের সম্পূর্ণ ব্যত্যয় ঘটেছে । এ বিষয়ে স্টোরকিপার(ভান্ডার রক্ষক) মো: শাহাদৎ হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এখনো মালামাল দেয়নি। তবে দুএক সপ্তাহের মধ্যে তারা ঔষধ সরবরাহ করবে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো: আবিদ হাসানের দাবী, তারা মালামাল সরবরাহ করা পর স্টোর কিপার মো: শাহাদৎ হোসেন একটি ঔষুধ প্রাপ্তি স্বীকার পত্রে স্বাক্ষর করে দেন। যা তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবার পরই, তার বিল প্রদান করেন।
কিন্তু পুরো প্রক্রিয়ায় মাঝে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। নিয়ম অনুযায়ী ঔষধ বুঝে পাওয়ার পর সার্ভে কমিটি রিপোর্ট দিবেন। সে আলোকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে বিল দিবেন। কিন্তু এখানে সে নিয়ম মানা হয়নি। সার্ভে কমিটির রিপোর্ট ছাড়াই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিল পরিশোধ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: মোনোয়ার হোসেনে বলেন, স্টোর কিপারের ঔষুধপ্রাপ্তির স্বীকারপত্র পাওয়ার পরই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে বিল পরিশোধ করা হয়েছে। সার্ভে কমিটির রিপোর্ট ছাড়া বিল কেনো দিলেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জুন ক্লোজিংয়ের ব্যস্ততায় সরল বিশ্বাসে আমি বিল দিয়েছি। তদন্ত কমিটি স্টোর কিপার কে একমাসের সময় দিয়েছে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য।
এ দিকে ফার্মেসী বিভাগের প্রধান মো: মিজানুর রহমান ও সিস্টার ইনচার্জ মো: আরিফুল ইসলাম বলেন, তারা এ অর্থ বছরে কোনো প্রকার মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ঔষধ বুঝে পাননি। যারফলে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের তারা এ গ্রুপের কোনো ঔষধ সরবরাহ করতে পারেননি।
এদিকে একটি অসমর্থিত সূত্রের থেকে জানা যায়, ঔষধ চুরির ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর, স্থানীয় রাজনৈতিক মদদপুষ্ট একাধিক সুবিধাবাদী গ্রুপ ঘটনাটি চাপা দেয়ার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন। হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শুধু মাত্র মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ঔষধ নয়, নিবির তদন্ত হলে ঔষধসহ অন্যান্য মালামালের অসঙ্গতিও ধরা পরবে।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা: রামপদ রায় বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বেশি আমি মন্তব্য করতে পারবো না।