মোঃ রাকিবুল হাসান
শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুর জেলার সীমাস্তবর্তী উপজেলা ঝিনাইগাতী উপজেলার তাপদাহে উপজেলাবাসী ব্যাপক ক্ষতির মুখে পরেছে। জন জীবনে সকল ক্ষেত্রে এই তাপদাহের ক্ষতির মুখে পড়েছে। জন জীবন থেকে শুরূ করে কৃষি ও ব্যাবসা বানিজ্য সহ প্রায় সকল ক্ষেত্রেই প্রভাব পরেছে। ২ সপ্তাহের প্রচন্ড তাপদাহের ফলে মানুষের জীবনে যেমন প্রভাব পরেছে। তেমনি উৎপাদিত ফসলেও বিভিন্ন ফার্ম ব্যাপক ক্ষতির মুখে পরেছে। তাপদাহের প্রভাবে ব্যাবসা ক্ষেত্রেও দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। এবং কি মানুষের কর্ম ক্ষেত্রেও এর ব্যাপক প্রভাব পরেছে। তীব্র গরমে বহু লোক নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দরিদ্র শ্রমিকেরা বেকার হয়ে পরেছে। এমন প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ার কারনে মারাত্বক প্রভাব পরেছে। জন জীবনে যেমন মারাত্বক সমস্যা দেখা দিয়েছে তেমনি কৃষি ক্ষাতে ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে পরেছে। আগাম জাতের ধান কিছু পাকলেও এখনো সিংহভাগ নামিলা জাতের বোর ফসল এখনো পাকেনি। তাপদাহের কারনে জমিতে পানি শুখিয়ে গেছে। সেচ ব্যাবস্থা অচল হয়ে পরেছে বিদ্যুতের চরম লোড শেডিং ও লো-শেডিংয়ের কারনে। গত ২ সপ্তাহের অধিক সময় ধরে তাপদাহের কারনে বিভিন্ন কৃষি ফসল ক্ষতির মধ্যে পরায় অত্র এলাকার কৃষকদের লক্ষ লক্ষ টাকা কৃষিতে ক্ষয় ক্ষতি হয়ে গেছে। উল্লেখ্য ধান, পাট, শাক-সবজী থেকে শুরু করে ভিন্ন ফলের গাছের ফল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যেমন এই অঞ্চল পাহাড়ি এলাকা উচুঁ টিলা বা অ-সমতল ভূমিতে রুপন কৃত বিভিন্ন প্রকার ফলের গুটি নষ্ট হওয়াতে কৃষকরা ক্ষতির মধ্যে পরেছে। এক সময় এই এলাকায় মানুষ রাজশাহীর আম ও লেচুর উপর নির্ভর করতো। কিন্তু গত এক যুগের মধ্যে পাহাড়ী অঞ্চলে পরিত্যাক্ত ভূমি গুলিতে মিশ্র ফলের চাষ করে কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হয়। এখন আর রাজশাহী বা রংপুরের ফলের ভরসায় থাকতে হয় না। এখানের উৎপাদিত ফসল দিয়ে এলাকার চাহিদা পূরন করে। বারতি ফল দেশের চাহিদা পূরনে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখে আসছে। একদিকে নিজেদের চাহিদা পূরন হচ্ছে এবং ফল বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা। অপর দিকে বৈরী আবহাওয়ার কারনে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পরেছে পোল্ট্রি ফার্ম, ডেইরী ফার্ম, কৃষি খাত সহ আরো অন্যান্য খাতে। উল্লেখ্য সম্প্রতি বছরে শীতের মৌসুমেও একই অবস্থা হয়। প্রচন্ড শীতে ক্ষতি হয় কৃষি ও পোল্ট্রি ফার্মে বর্তমানে তাপদাহের ফলে সার্বিক ক্ষয় ক্ষতির মধ্যে পরেছে। অত্র শেরপুর জেলার সীমাস্তবর্তী উপজেলা ঝিনাইগাতি দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির ফলে আম, লেচু, কাঠাল, জাম পাশাপাশি কৃষকের নানা জাতের ধান পাট শাক-সবজী সহ অন্যান্য আরো অনেনক ফসলের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। প্রকাশ থাকে যে অতি মাত্রায় তাপদাহের ফলে আমের গুটি, লেচুর গুটি, কাঠালের গুটি সহ অন্যান্য ফসলেও ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও জনজীবন মারাত্বক বিপদের মুখে পরেছে। যে পরিমান ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে এর হিসাব মিলানো কঠিন। বর্তমানেন এই দেশের ঋতুর সাথে আবহাওয়ার কোন মিল নেই। বৈরী প্রকৃতির বিরুপ প্রতিক্রিয়ার কারনে প্রাণি জগতে এর ব্যাপক প্রভাব পরেছে। প্রকৃতির এমন আচরনে অসহায় জীববৈচিত্র।