মো. নাঈম হাসান ঈমন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি।।
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় কৃষি প্রণোদনার ১৯ বস্তা সার ও বীজ আত্মসাতের মামলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার -৩১ জুলাই- ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমার্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম তাদের কারগারে পাঠানো নির্দেশ দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী -পিপি- আব্দুল মান্নান রসূল জানান।
কারাগারে যাদের পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- ওই উপজেলার ৬নং আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিঠু সিকদার ও সদস্য মো. হেলাল সিকদার।
আইনজীবী আব্দুল মান্নান বলেন- উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিঠু সিকদারসহ এ মামলার তিন আসামি। জামিন শেষ হলে দুইজন নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ৪ জুন দুপুরে স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল ইজিবাইকে করে পরিষদের গুদাম থেকে আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ গোপনে স্থানান্তর করার সময় স্থানীয় লোকজন তা দেখে ফেলেন।
পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা -ইউএনও- মো. নেছার উদ্দিনকে জানান। এরপর তিনি ইউনিয়ন পরিষদে অভিযান চালান।
এ সময় পরিষদের গুদাম থেকে ছয় বস্তা ব্রি-ধানের বীজ ও সাত বস্তা রাসায়নিক সার জব্ধ করেন। পরে স্থানীয় সাতানি বাজারের যুবলীগ নেতা দীপক হাওলাদারের বাসা থেকে ছয় বস্তা জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় পরের দিন ৫ জুন রাতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিঠু সিকদার- ১নং ওয়ার্ডের সদস্য হেলাল সিকদার ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দীপক হাওলাদারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান বীন ইসলাম।
খরিপ মৌসুমে উফশী আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ বছরের এপ্রিল মাসে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও আউশ ধানের বীজ বিতরণ করা হয়।
উপজেলার তিন হাজার ৭৫০ জন কৃষকের মাঝে ৫ কেজি আউশ ধান বীজ- ১০ কেজি পিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়।
আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে ৬২৫ জন কৃষকের জন্য বরাদ্দ হয়। কিন্তু বিতরণের দুই মাস পর এই সার ও বীজ জব্দ করা হয়।