Dhaka , Sunday, 26 January 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
সাতকানিয়ায় অবৈধ বালু উত্তোলনকালে সেনাবাহিনীর অভিযান আটক ১,বালু উত্তোলন সামগ্রী জব্দ ৪০ঘন্টা অন্ধকারে সরাইলের ৫গ্রাম সিদ্ধিরগঞ্জে মধ্য সানারপাড় ফ্রিজ কাপ ব্যাডমিন্ট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ হাসিনা দিল্লির কোলে বসে ফোঁস ফোঁস করছে,আবারও ছোবল মারার ষড়যন্ত্র করছে -উপদেষ্টা মাহফুজ আলম রায়েরবাজারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের কবর জিয়ারত করলেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন ৫ আগস্টের ঐক্য ধরে রাখুন তা নাহলে-ইতিহাস ক্ষমা করবে না ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানা পুলিশের অভিযানে ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক- ১ নোয়াখালীতে পিস্তল ঠেকিয়ে ডাকাতি, ৪ দোকানে চুরি মাদক, ও অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি ঈদগাঁও ৭ নং ওয়ার্ড থেকে রোহিঙ্গা ফায়সাল ও তার ভাই থানা পুলিশের খাঁচায় ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুজব শুনে শোডাউন গ্রেপ্তার-২ সাবেক জেলা প্রশাসক, জেলা জজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা শহীদ ওয়াসিম হত্যা মামলার আসামী ঈশান গ্রেফতার ঈদগাঁওতে হচ্ছে না বস্ত্র মেলা আলেম ওলামাদের কথা রাখলেন লুৎফুর রহমান কাজল সাতকানিয়ায় ব্রিকফিল্ডে মোবাইল কোর্টের অভিযান তিন লক্ষ টাকা জরিমানা মেহেরপুরে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দদের সংবর্ধনা  হাটহাজারিতে শহীদ জিয়া স্মৃতি আন্ত:ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন দুর্গাপুরে সিপিবির ‘গণতন্ত্র অভিযাত্রা’য় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ১৫০ গজ ভেতরেই চৌকি বসাল ভারত পটিয়ায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে শিক্ষকের আত্মহত্যা বিএনপি জনগনের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়- কাজী সাইয়েদুল আলম  হাটহাজারিতে অবৈধভাবে কৃষি জমির টপসয়েল কাটার জন্য অর্ধ লক্ষ টাকা জরিমানা রূপগঞ্জে ওয়াসার কাজে বিদেশী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দূর্ণীতির প্রতিবাদে ও বকেয়া টাকা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন কেউ শোনেনা কারো কথা চরম বিশৃঙ্খল ও নেতৃত্ব সংকট বরিশাল বিএনপিতে এসএসসি পাশ না করেও ২১ বছর যাবৎ দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন নুরুল হাকিম দারুল ইহসান ট্রাস্ট বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ওবায়দুল কাদেরের সেজো বোনের মৃত্যু ফসলি জমি থেকে বালু তোলায় লাখ টাকা জরিমানা প্রেমে ব্যর্থ হয়ে যুবকের আত্মহত্যা মনপুরা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফকিরহাট মাদ্রাসায় শীত সামগ্রী বিতরণ

জগন্নাথপুরে নদী পারাপারে খেয়া নৌকার মাঝি হলেন যাত্রীরা

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 10:08:08 pm, Saturday, 18 March 2023
  • 29 বার পড়া হয়েছে

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি।।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মাগুরা নদী পারাপার নিয়ে অনাকাঙ্খিত বিড়ম্বনায় পড়েছেন যাত্রীরা। নদীতে খেয়া নৌকা থাকলেও মাঝি নেই। মাঝি না থাকায় বাধ্য হয়ে যাত্রীরা নিজেই নৌকা বেয়ে এপার-ওপার হচ্ছেন।
১৮ মার্চ শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, নদীতে খেয়া নৌকা ভেসে ভেসে ঘুরছে। নদীর দুই পারে পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছেন নারী-পুরুষ যাত্রীরা। নৌকাটি পশ্চিমপারের ঘাটে আছে। নৌকাতে কয়েকজন নারী ও শিশু যাত্রী উঠে বসে অপেক্ষায় আছেন পুরুষ কোন যাত্রী এসে নৌকা বেয়ে ওপারে নিয়ে যাওয়ার আশায়। অনেক্ষণ পর এ প্রতিবেদক সহ আরো ২ জন তরুণ এসে নৌকায় উঠলে তাদের দেহে যেন প্রাণ ফিরে আসে। এবার সমস্যা হলো যাদের উপর নারী যাত্রীরা এতো ভরসা করলেন, সেই পুরুষ যাত্রীদের মধ্যে কেউই ভালো ভাবে নৌকা বাইতে জানেন না। তার উপর নদীভর্তি কচুরিপানা। এতো কচুরিপানা মাড়িয়ে নৌকা বেয়ে পশ্চিমপার থেকে পূর্ব নেয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার দায়িত্ব পড়েছে সেই পুরুষ যাত্রীদের ঘাঁড়ে। এর মধ্যে পূর্বপারের যাত্রীরা ঘাটে বসে অপেক্ষা করছেন কতক্ষণে এপারের নৌকা ওপারে যাবে। অবশেষে দীর্ঘ প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট এলোপাতারি ভাবে নৌকা বেয়ে ওপারে গিয়ে পৌঁছালো নৌকাটি। এ যেন এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। নিজ চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবেন না।
এ সময় স্থানীয় যাত্রীদের মধ্যে অনেকে জানান, এ খেয়া নৌকাটি গ্রামবাসীর অর্থে বানানো হয়েছে। নৌকা চালানোর জন্য ২ জন মাঝি ছিল। তাদেরকে প্রতি মাসে গ্রামবাসীরা ২৫ হাজার টাকা দিতেন। এখন মাঝিরা ৪০ হাজার টাকা চায়। তাদের কথা মতো টাকা না দেয়ায় মাঝিরা চলে গেছে। যে কারণে আজ থেকে এ দুর্গতি চলছে।
জানাগেছে, নদীর পশ্চিমপারে রয়েছে শিবগঞ্জ বাজার এলাকা ও পূর্বপারে রয়েছে উলুকান্দি, কিশোরপুর ও খালিশাপাড়া গ্রাম। মধ্যস্থানে আছে মাগুরা নদী। নদীটি বেশি গভীর হওয়ায় যুগযুগ ধরে নৌকাযোগে এসব গ্রামের মানুষ সহ আশপাশের নারী-পুরুষ, শিশু, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়–য়া শিক্ষার্থী সহ প্রতিদিন শতশত মানুষ চলাচল করছেন। নৌকাই তাদের একমাত্র ভরসা। মাঝে মধ্যে নৌকা না থাকলে অথবা মাঝি না থাকলে বেড়ে যায় তাদের অবর্ণনীয় ভোগান্তি। রাত ১০ টার পর তো নৌকাই থাকে না। কোন অবস্থাতেই এপারের মানুষ ওপারে যাতায়াত করতে পারেন না। এ অবহেলিত জনপদের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন কবে হবে, কেউ জানেন না।
মাওলানা দবিরুল ইসলাম সহ স্থানীয় অনেকে বলেন, এ মাগুরা নদীতে একটি সেতুর অভাবে আমরা এ অঞ্চলের মানুষ যুগযুগ ধরে পিছিয়ে আছি। ভোগান্তি যেন পিছু ছাড়তে চায় না। জনস্বার্থে এখানে সেতু হওয়া অতীব জরুরী। এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, সেতুর দাবিতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন-নিবেদন করলেও কোন কাজ হয়নি। এখন আমরা নিরাশ হয়ে পড়েছি। এ বিষয়ে জানতে বারবার চেষ্টা করেও জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

সাতকানিয়ায় অবৈধ বালু উত্তোলনকালে সেনাবাহিনীর অভিযান আটক ১,বালু উত্তোলন সামগ্রী জব্দ

জগন্নাথপুরে নদী পারাপারে খেয়া নৌকার মাঝি হলেন যাত্রীরা

আপডেট সময় : 10:08:08 pm, Saturday, 18 March 2023

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি।।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মাগুরা নদী পারাপার নিয়ে অনাকাঙ্খিত বিড়ম্বনায় পড়েছেন যাত্রীরা। নদীতে খেয়া নৌকা থাকলেও মাঝি নেই। মাঝি না থাকায় বাধ্য হয়ে যাত্রীরা নিজেই নৌকা বেয়ে এপার-ওপার হচ্ছেন।
১৮ মার্চ শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, নদীতে খেয়া নৌকা ভেসে ভেসে ঘুরছে। নদীর দুই পারে পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছেন নারী-পুরুষ যাত্রীরা। নৌকাটি পশ্চিমপারের ঘাটে আছে। নৌকাতে কয়েকজন নারী ও শিশু যাত্রী উঠে বসে অপেক্ষায় আছেন পুরুষ কোন যাত্রী এসে নৌকা বেয়ে ওপারে নিয়ে যাওয়ার আশায়। অনেক্ষণ পর এ প্রতিবেদক সহ আরো ২ জন তরুণ এসে নৌকায় উঠলে তাদের দেহে যেন প্রাণ ফিরে আসে। এবার সমস্যা হলো যাদের উপর নারী যাত্রীরা এতো ভরসা করলেন, সেই পুরুষ যাত্রীদের মধ্যে কেউই ভালো ভাবে নৌকা বাইতে জানেন না। তার উপর নদীভর্তি কচুরিপানা। এতো কচুরিপানা মাড়িয়ে নৌকা বেয়ে পশ্চিমপার থেকে পূর্ব নেয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার দায়িত্ব পড়েছে সেই পুরুষ যাত্রীদের ঘাঁড়ে। এর মধ্যে পূর্বপারের যাত্রীরা ঘাটে বসে অপেক্ষা করছেন কতক্ষণে এপারের নৌকা ওপারে যাবে। অবশেষে দীর্ঘ প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট এলোপাতারি ভাবে নৌকা বেয়ে ওপারে গিয়ে পৌঁছালো নৌকাটি। এ যেন এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। নিজ চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবেন না।
এ সময় স্থানীয় যাত্রীদের মধ্যে অনেকে জানান, এ খেয়া নৌকাটি গ্রামবাসীর অর্থে বানানো হয়েছে। নৌকা চালানোর জন্য ২ জন মাঝি ছিল। তাদেরকে প্রতি মাসে গ্রামবাসীরা ২৫ হাজার টাকা দিতেন। এখন মাঝিরা ৪০ হাজার টাকা চায়। তাদের কথা মতো টাকা না দেয়ায় মাঝিরা চলে গেছে। যে কারণে আজ থেকে এ দুর্গতি চলছে।
জানাগেছে, নদীর পশ্চিমপারে রয়েছে শিবগঞ্জ বাজার এলাকা ও পূর্বপারে রয়েছে উলুকান্দি, কিশোরপুর ও খালিশাপাড়া গ্রাম। মধ্যস্থানে আছে মাগুরা নদী। নদীটি বেশি গভীর হওয়ায় যুগযুগ ধরে নৌকাযোগে এসব গ্রামের মানুষ সহ আশপাশের নারী-পুরুষ, শিশু, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়–য়া শিক্ষার্থী সহ প্রতিদিন শতশত মানুষ চলাচল করছেন। নৌকাই তাদের একমাত্র ভরসা। মাঝে মধ্যে নৌকা না থাকলে অথবা মাঝি না থাকলে বেড়ে যায় তাদের অবর্ণনীয় ভোগান্তি। রাত ১০ টার পর তো নৌকাই থাকে না। কোন অবস্থাতেই এপারের মানুষ ওপারে যাতায়াত করতে পারেন না। এ অবহেলিত জনপদের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন কবে হবে, কেউ জানেন না।
মাওলানা দবিরুল ইসলাম সহ স্থানীয় অনেকে বলেন, এ মাগুরা নদীতে একটি সেতুর অভাবে আমরা এ অঞ্চলের মানুষ যুগযুগ ধরে পিছিয়ে আছি। ভোগান্তি যেন পিছু ছাড়তে চায় না। জনস্বার্থে এখানে সেতু হওয়া অতীব জরুরী। এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, সেতুর দাবিতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন-নিবেদন করলেও কোন কাজ হয়নি। এখন আমরা নিরাশ হয়ে পড়েছি। এ বিষয়ে জানতে বারবার চেষ্টা করেও জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি