এম জালাল উদ্দীন- পাইকগাছা।।
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ভারি বৃষ্টিতে পাইকগাছার নিন্মাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ঝড়ো বাতাস- বৃস্টি আর জোয়ারের পানিতে ডুবছে উপকূল। রোপা আমনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়ায় উপকূল এলাকার জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।
উপজেলার দেলুটি- লতা- সোলাদানা ইউনিয়ানের বিভিন্ন স্থান ও গদাইপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া হিতামপুর বেড়িবাধের রাস্তা ঝুকিপূর্ণি হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে অনেক এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে। ঝুকিপূর্ণ বাধগুলিতে স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করা হয়েছে। পানিতে পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। বাড়ির উঠান- রাস্তা ডুবে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। বেড়িবাঁধের ভিতর ও বাইরের শত শত চিংড়ি ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। দিনভর বৃষ্টি থাকায় রাস্তায় যানবহন ঠিকমত চলাচল করেনি। টানা বর্ষণের কারণে দিন মজুররা কাজ করতে পারেনি। এতে সংসারে দেখা দিচ্ছে অভাব। তাছাড়া সবচেয়ে বিপাকে পড়েন নিন্ম আয়ের দিন মজুররা। সাধারণ মানুষের চলাফেরা এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম কিছুটা ব্যাহত হয়। পৌর বাজার ও রাস্তা তলিয়ে চলাচল ব্যাহত হয়। অনেক নিচু এলাকা পানিতে ভাসছে। ভারি বৃস্টিতে মাটির ঘরবাড়ী ধসে পড়ায় সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অসিম কুমার দাশবলেন। এলাকায় জোয়ার-ভাটা থাকায় বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি খুব তাড়াতাড়ি নেমে যাবে। এতে করে আমন আবাদের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে দমকা বাতাসে মাটিতে নুয়ে পড়া ধানের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে।
এদিকে ঘুর্ণিঝড় ডানা মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ১০৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুতির পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম শামীম বিভিন্ন এলাকায় মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে।