
এম এইচ হৃদয় খান
স্টাফ রিপোর্টার।।
গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মীর্জাপুর ইউনিয়নের বিকে-বাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পৈত্রিক জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে এক তরুণীসহ তিনজনকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতাকর্মী ওই জমি জবরদখলের চেষ্টায় সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ২৬শে ডিসেম্বর সকালে খোরশেদ আলমের সন্তান রুবেল মাহমুদের পৈত্রিক জমি দখলের চেষ্টা করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন ওই এলাকার এরশাদুলের সন্তান জুয়েল- সুজন- সোহেল- মৃত হাজী কছিম উদ্দিনের সন্তান এরশাদুল -৫৮- পাশ্ববর্তী বৌরাঘাটা এলাকার নূরুল ইসলামের সন্তান আহসান -৪৫- সহ আরও কয়েকজন।
জমি দখলের চেষ্টার সময় ভুক্তভোগী খোরশেদ আলমের সন্তান জাকারিয়া- খাদিজা ও রুবেল প্রতিবাদ করলে দুষ্কৃতিকারীরা তাদের উপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র- লোহার রড ও লাঠি দিয়ে তাদের নৃশংসভাবে পেটানো হয়। খাদিজাকে এলোপাতাড়িভাবে প্রহার করা হয় এবং তার তলপেটে একাধিকবার আঘাত করা হয়। অভিযোগ রয়েছে- তাকে শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে। মাহফুজুর রহমানের একটি মোবাইল ভাঙচুর করা হয়।
স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহতদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মির্জাপুর ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক লাভলু- ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের ক্রীড়া সম্পাদক জুয়েল এবং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য শাহীনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত জুয়েল ও শাহীন মারামারির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, হাতাহাতি হয়েছিল, কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি।
এ ঘটনায় খোরশেদ আলমের সন্তান রুবেল মাহমুদ (৩৭) বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওসি মারামারির ঘটনায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, পুলিশ এ ঘটনাটি নজরদারিতে রেখেছে এবং তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।