
মো.ইমরান হোসেন,
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি।।
গাজীপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসুচির আওতায় শোক র্যালি বের হলে পুলিশের বাধার মুখে পন্ড হয়ে যায়। এতে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়েছে। এ ঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্য ও বিএনপি নেতাকমীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। সোমবার বিকেলে গাজীপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে রাজবাড়ি সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি নেতা-কর্মী সূত্রে জানাযায় , দেশের বিভিন্নস্থানে বিএনপির ৫ নেতা-কর্মী নিহতের স্মরণে গাজীপুর জেলা বিএনপি দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে স্মরণসভা ও শোকর্যালির আয়োজন করে। বিকেল ৪টার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল, কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: হেলাল উদ্দিন, কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পেরা প্রমুখ।
সভা শেষে বিকেল সাড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা শোকর্যালি বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।
বাধা উপেক্ষা করে র্যালি বের করার চেষ্টা করে পুলিশ শোকর্যালির ব্যানার কেড়ে নেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাকবিতন্ডা ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মী ও দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে টিয়ার সেল, শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এ সময় শহরের প্রধান সড়কে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। রাজবাড়ি সড়কের দু’পাশের দোকান-পাট ও ও সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।এ ঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্য, বিএনপি নেতাকমীসহ অন্তত ২০ আহত হয়।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান বলেন, সভা শেষে শান্তিপূর্ণভাবে শোক র্যালি বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় এবং ব্যানার কেড়ে নিয়ে বেদম লাঠিচার্জ শুরু করে। পরে পুলিশ দলীয় অফিস ও নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ালসেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এতে তাদের কালীগঞ্জ উপজেলা যুবদলকর্মী জাকির হোসেন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে নেতা-কর্মী আহত হয়। তিনি দাবি করেন, পুলিশ অন্তত ১৫ জনকে আটক করেছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) রেজওয়ান আহমেদ বলেন, বিএনপি ও অঙ্গ সংঘঠনের নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠান শেষ করার পরপরই সড়ক অবরোধ করে মিছিল বের করার চেষ্টা করে। এসময় জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আমরা তাদের মিছিল না করার অনুরোধ করি। কিন্তু তারা আমাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে এবং ফ্ল্যাগের ও ব্যানারের লাঠিসহ বিভিন্ন লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। এতে এস আই সহ পুলিশের চার সদস্য আহত হয়। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ টিয়াল শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করেছে। আহত পুলিশ সদস্যদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।