
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ।।
ভাত দে হারামজাদা,নয়তো মানচিত্র খাবো । এই বাক্যটা বুঝিয়ে দেয় মানব জীবনে খাদ্যের গুরুত্ব কতটা। খাদ্য মানুষের বেঁচে থাকার মূল উপাদান। আমাদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম একটি উপাদান হলো খাদ্য। বাকি উপাদান ছাড়াও মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব তবে খাদ্য ছাড়া মানুষের বেঁচে অসম্ভব।
জীবদেহে শক্তির উৎস হল খাদ্য। সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াকালে সৌরশক্তি খাদ্যের মধ্যে স্থৈতিক শক্তিরুপে আবদ্ধ হয়। জীবকোষে শ্বসনের সময় স্থৈতিক শক্তি তাপ শক্তি বা গতিশক্তি রুপে মুক্ত হয়, জীবদেহের যাবতীয় বিপাক ক্রিয়া, যেমন : শ্বসন, রেচন,পুষ্টি ইত্যাদি এবং শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ, যেমন-বৃদ্ধি, চলন-গমন, জনন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রিত হয়। সুতরাং প্রাণধারনের জন্য প্রত্যেক জীবকেই খাদ্য গ্রহন করতে হয়। তাই, যে সব আহার্য সামগ্রী গ্রহন করলে জীবদেহের বৃদ্ধি, পুষ্টি, শক্তি উৎপাদন ও ক্ষয়পূরন হয়, তাকেই খাদ্য বলে।
তবে বর্তমান সময়ে আমরা সুস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ না করে আমরা রুচিসম্মত খাদ্যের দিকে আগ্রহ দেখায় যা আমাদের মানবদেহের জন্য কতটুকু উপকার বা ক্ষতিকর সেটার দিকে খুব কমই লক্ষ্য করি।
পৃথিবীতে খাদ্যের হয়তো অভাব নাই তবে দিন দিন দেখা দিচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাদ্যের অভাব। যা মানবদেহকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করছে।
হাঙ্গেরির প্রাক্তন কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রী ডাঃ পাল রোমানির পরামর্শ অনুসারে বিশ্ব খাদ্য দিবস ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।তারপর জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিক্যালচারাল অর্গানাইজেশন(FAO) উদ্যোগে বিশ্বে প্রায় প্রতিটা দেশ ১৬ই অক্টোবর কে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন করছে।
বিশ্ব খাদ্য দিবস মানুষকে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিহার করা এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের জন্য নানাভাবে সচেতন মূলক বার্তা পাঠিয়ে থাকে।
বিশ্ব খাদ্য দিবস সম্পর্কে জানতে চাইলে কুবি শিক্ষার্থী সাইমন আবদুল্লাহ আজাদ বলেন,আমাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সংগঠিত হয় খাদ্য আহরণের প্রয়োজনীয়তাকে কেন্দ্র করে। এদিক থেকে বলা যায় আমরা যে পড়ালেখা করছি, তারপর চাকরি করব, দিনশেষে সেই চাকরির টাকা দিয়েই আমরা খাদ্য ক্রয় করব। তাই আমি মনে করি মানবজীবনে খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
কুবি শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ বলেন, নিরাপদ খাদ্যের জন্য প্রয়োজন খাদ্য উৎপাদনে নিরাপদ প্রযুক্তি ও নিরাপদ খাদ্য উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে ।