মো.ইমরান হোসেন,
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি।।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজে গতকাল রোববার ইফতারে শরবত তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃত শ্রমিকরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার গোশাইর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আশরাফ আলী (৩০), একই জেলার ভূঞাপুর থানার বারবারই গ্রামের আবদুল রশিদের ছেলে আবদুল বারেক – বারী (২৯) ও সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালি থানার কুকি মধ্যপাড়া গ্রামের বুদ্দু মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়া (২৮)। তিনজনই কারখানার পাউডার কোটিং সেকশনের অপারেটর ছিলেন। অসুস্থ অন্য শ্রমিক হলেন আলামিন হোসেন (২৮)।
এ ঘটনায় কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়ক আটকে বিক্ষোভ করে। তারা শতাধিক যানবাহনে ভাঙচুর চালায়। পরে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে।
পুলিশ, শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল ওই কারখানায় ইফতারে শরবত পান করে চার শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় কারখানার নিজস্ব -চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিলেও অবনতি হতে থাকে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ অসুস্থ চারজনকে শেখ মুজিব ফজিলাতুন নেছা কেপিজি মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা কালিয়াকৈর- নবীনগর সড়কে অবস্থান নেয়। উত্তেজিত শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে । এ সময় শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করে শ্রমিকরা। সড়কের দুই লেনে মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দিয়ে অবরোধ করে রাখে। পরে শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে কারখানার নিজস্ব আনসার বাহিনী কয়েক রাউন্ড গুলি করে। শ্রমিকরা আবার সড়কে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় ওয়ালটন প্লাজা ও কারখানার গেটের সামনের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্হিত হয়। সড়ক অবরোধের কারণে এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের উভয় পাশে প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে রাখে।