Dhaka , Tuesday, 11 February 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
পরিবেশবান্ধব ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে গ্রাজুয়েটদের প্রতি আইইউবিএটি সমাবর্তনে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পাইকগাছা থানার এএসআই আলতাফ মাহমুদ চতুর্থ বারের মতো জেলা শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা নির্বাচিত বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ৬টি অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন স্থলবন্দর প্রাথমিকভাবে বন্ধের সুপারিশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে- মির্জা আলমগীর ৫৩ তম জাতীয় শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা কক্সবাজার জেলা পর্যায় অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জে গার্মেন্টস কর্মীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে আটক দুই রামগঞ্জে অগ্নি নির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত  পাইকগাছায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  মোহাম্মদ আবুল কাসেম সওদাগর আর নেই সরাইল উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ ইটের ভাটা বন্ধ রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিনের উদ্ধোধন মণিরামপুরে ঘরে গৃহবধূর লাশ, শ্বশুর উধাও সদরপুরে ২ মণ জাটকা ইলিশ জব্দ ব্যবসায়ীকে জরিমানা  কাউখালীতে আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার  পলাশে জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ মোস্তফা ই-সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার এডহক কমিটির সভাপতি হলেন রনি ভূইয়া টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন কক্সবাজার এর আহবায়ক কমিটি গঠিত পটিয়ায় প্রতিবেশীই যখন শিশু আয়াতের অপহরণকারী সরাইল উপজেলা প্রশাসনের প্রশংসনীয় উদ্যোগ নোয়াখালীর কবিরহাটে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম গাজীপুরে গ্রেফতার  রামুতে মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেলো এক ব্যক্তির মৎস্যজীবী লীগের সহ সভাপতি শরিফুজ্জামান ও তার স্ত্রী’র মিথ্যা মামলায় নিরুপায় হয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন ভুক্তভোগী রাশিদা আক্তার রূপগঞ্জে সরকারি রাস্তা দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ লালাবাজারে জিয়াউর রহমান ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ সরাইলে জয়দধর কান্দিগ্রামে দুই ভূয়া পুলিশসহ গ্রেপ্তার ৮ গাজীপুরে সাদপন্থিরা  ইজতেমা ময়দান বুঝে নিলেন হাওর রক্ষায় কীটনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনা ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’এর লক্ষ্য- স্বরাষ্ট্র সচিব

কক্সবাজারে মিত্যা মামলার শিকার সাংবাদিক পরিবার, মামলার আসামি হলেন ৭৬ বছর বয়সী বৃদ্ধ

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 11:45:44 am, Wednesday, 29 January 2025
  • 24 বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারে মিত্যা মামলার শিকার সাংবাদিক পরিবার, মামলার আসামি হলেন ৭৬ বছর বয়সী বৃদ্ধ

শওকত আলম, কক্সবাজার

৭৬ বছর বয়সী হারুন তাহের গত ১৯ জানুয়ারি দুপুরে মসজিদ থেকে নামাজ শেষ করে বেরিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। দৌড়াতে দৌড়াতে এক যুবক সামনে। এসে জানালেন- আপনার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। শুনে আকাশ ভেঙে পড়ার মতো হলেও নিয়তি হিসেবে মেনে নিলেন নীরবে। তিনি জানালেন-বয়সে লবন মাঠ দখল করার মতো জঘন্য কাজ করবো কী করে?

তাছাড়া যে ঘটনার মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে সে ঘটনার সময় আমি ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক ১২ কিলোমিটার দূরে কালারমারছড়ার মাইজ পাড়া জামে মসজিদের আঙিনায় অবস্থান করছিলাম, যা আমার কল লিস্ট লোকেশন পর্যালোচনা করলে সত্যতা পাওয়া যাবে।

গত ১৮ নভেম্বর একই ঘটনায় কক্সবাজারের পেকুয়া মৌজার লম্বা ঘোনা উজান-টিয়া করিদিয়ায় লবণমাঠে সংগঠিত একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি মামলায় আসামি করা হয় মহেশখালী কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালীর একই পরিবারের দুইজন ব্যবসায়ীককে। একজন ৭৬ বছর বয়সী অসুস্থ বৃদ্ধ ও অন্যজন তার পুত্র ব্যবসায়িক মোস্তাফা কামাল। গত ১৯ জানুয়ারি কক্সবাজারের শেকুয়া খানায় রুজু হওয়া ওয়াজ উদ্দীন মাহমুদ নামে এক বাদীর একটি মামলায় ভাদের আসামি করা হয়। যার মামলা নম্বর-১০।

হারুন তাহেরের বড় ছেলে এবং উপজেলা শ্রমিকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে নানারকম মামলা হামল্য ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ব্যবসায়ী মোস্তাফা কামাল। তার ব্যক্তিগত ব্যবহারের মুঠোফোনের কল লিস্ট ও লোকেশন পর্যালোচনা করে দেখা যায় ঘটনার সময় তাঁরও অবস্থান ছিল কালারমার ছড়ার ইউনুছখালী বাজারস্থ মোস্তফা কামালের ব্যবসায়ীক কার্যালয়ে।

একই ঘটনায় পরদিন ২০ জানুয়ারি আরও একটি মামলা দায়ের করেন জসীম উদ্দীন সরকার নামে আরেক ব্যক্তি। যার মামলা নম্বর-১১। ওই মামলায়ও তাদের আসামি করা হয়। ভিন্ন তারিখে দুইটি মামলা হলেও ঘটনার সময় দেড় ঘন্টার ব্যবধান যেটি একই এলাকা বলে উল্লেখ করা হয়। প্রথম মামলায় ঘটনার সময় হিসেবে উল্লেখ করা ৮ জানুয়ারি দুপুর ২ টা আর ২য় মামলা ১৮ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ৩টা। মামলায় পিতা ও পুত্রকে আসামি করার বিষয়টি পূর্ব শত্রুতা ও পরিকল্পিত ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক হয়রানি বলে মনে করছেন। পরিবার। ইতোমধ্যে এর সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, ডিআইজি ও আইজিপি বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মিথ্যা ভাবে মামলার আসামি নির্যাতিত বিএনপি নেতা মোস্তাফা কামাল জানান-মহেশখালীর আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি হতে আমি ব্যবসা সূত্রে ২ লাখ টাকা পাওনা আছি, আমাকে একটি ব‍্যাংক চেকও দেন তিনি। কিন্তু ব্যাংকের একাউন্টে কোনো টাকা ছিলো না এবং সরাসরিও আমার পাওনা টাকা পরিশোধ করেননি, এ নিয়ে আমি আবুল হোসেনের কাছে উকিল নোটিশ পাঠাই এরপর থেকে তিনি আমি ও আমার পরিবারের উপর ক্ষেপে আছেন। পাওনা টাকা। চাইলে তিনি আমাকে বিভিন্ন হামলা ও মামলার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। আর পেকুয়া থানায় দায়ের হওয়া মামলার বাদীদের সাথে মহেশখালীর এই আবুল হোসেনের আত্মীয়তা রয়েছে, ফলে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে আবুল হোসেন জসীম উদ্দীন ও ওয়াজ উদ্দীনকে দিয়ে তিনি ও তার পিতাকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ-পুলিশ রাজনৈতিক প্রভাবের কাছে নতিস্বীকার করে বা কোন ইন্ধন বা চাপের কারণে এ ধরনের মামলায় নিরীহ ব্যক্তিদের আসামি করা খুবই দুঃখজনক। এই ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলায় আসামি হওয়া নিরীহ ব্যক্তিদের অব্যহতি দেওয়ার দাবি জানান তারা। মামলার বিষয়ে বাদি ওয়াজেদ উদ্দিন জানান, আমি জমির মালিক, আমরা আমাদের প্রজেক্ট চাষ করতে চাইলে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় আমর মামলা করেছি। তবে তিনি হারুন তাহের ও মোস্তাফা কামাল নামে এই দুই ব্যক্তিকে চিনে না বলেও জানান। কিভাবে তাদের নাম মামলায় আসলো সে বিষয়ে মামলার এই বাদি কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তবে আরেকটি মামলার বাদী জসিম উদ্দিন সরকারকে ফোন দিলে সাংবাদিকের পরিচয় জেনে কল কেটে দেন। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি সিরাজুল মোস্তাফা জানান, আসলে মামলার এজাহার আসার পর কে অপরাধী বা কে নিরপরাধ তা দেখার সময় থাকে না, দ্রুত মামলা না নিলেও আমরা বিতর্কিত হয়ে পড়ি। যদি নিরাপরাধ ব্যক্তির ভুল নাম চলে আসে তা তদন্ত সাপেক্ষে

বাদ দেওয়া হবে। মামলার চূড়ান্ত তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাওকে হয়রানী বা গ্রেফতার করা হবে না বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশ মানবাধিকার ফোরামের কক্সবাজার জেলা সভাপতি ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী সেজান এহেসান জানান, এভাবে নির্দোষ ব্যক্তিদের মামলায় আনা মানে সেই মামলাটি হাল্কা হয়ে যাওয়া। পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা সে বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে নিরপরাধ ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে দ্রুত আদালতে চার্জশিট প্ররণ করা উচিত।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ জানান, জেলায় দায়িত্বে যতদিন আছি আমার শতভাগ প্রচেষ্টা থাকবে কোন মামলায় নিরপরাধ কাওকে অযথা হয়রানি করা হবে না। তিনি ইতোমধ্যে বিষয়টি জানার পরে সংশ্লিষ্ট থানায় এ নিয়ে গুরুত্বের সাথে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে জানান।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

পরিবেশবান্ধব ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে গ্রাজুয়েটদের প্রতি আইইউবিএটি সমাবর্তনে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

কক্সবাজারে মিত্যা মামলার শিকার সাংবাদিক পরিবার, মামলার আসামি হলেন ৭৬ বছর বয়সী বৃদ্ধ

আপডেট সময় : 11:45:44 am, Wednesday, 29 January 2025

শওকত আলম, কক্সবাজার

৭৬ বছর বয়সী হারুন তাহের গত ১৯ জানুয়ারি দুপুরে মসজিদ থেকে নামাজ শেষ করে বেরিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। দৌড়াতে দৌড়াতে এক যুবক সামনে। এসে জানালেন- আপনার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। শুনে আকাশ ভেঙে পড়ার মতো হলেও নিয়তি হিসেবে মেনে নিলেন নীরবে। তিনি জানালেন-বয়সে লবন মাঠ দখল করার মতো জঘন্য কাজ করবো কী করে?

তাছাড়া যে ঘটনার মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে সে ঘটনার সময় আমি ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক ১২ কিলোমিটার দূরে কালারমারছড়ার মাইজ পাড়া জামে মসজিদের আঙিনায় অবস্থান করছিলাম, যা আমার কল লিস্ট লোকেশন পর্যালোচনা করলে সত্যতা পাওয়া যাবে।

গত ১৮ নভেম্বর একই ঘটনায় কক্সবাজারের পেকুয়া মৌজার লম্বা ঘোনা উজান-টিয়া করিদিয়ায় লবণমাঠে সংগঠিত একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি মামলায় আসামি করা হয় মহেশখালী কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালীর একই পরিবারের দুইজন ব্যবসায়ীককে। একজন ৭৬ বছর বয়সী অসুস্থ বৃদ্ধ ও অন্যজন তার পুত্র ব্যবসায়িক মোস্তাফা কামাল। গত ১৯ জানুয়ারি কক্সবাজারের শেকুয়া খানায় রুজু হওয়া ওয়াজ উদ্দীন মাহমুদ নামে এক বাদীর একটি মামলায় ভাদের আসামি করা হয়। যার মামলা নম্বর-১০।

হারুন তাহেরের বড় ছেলে এবং উপজেলা শ্রমিকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে নানারকম মামলা হামল্য ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ব্যবসায়ী মোস্তাফা কামাল। তার ব্যক্তিগত ব্যবহারের মুঠোফোনের কল লিস্ট ও লোকেশন পর্যালোচনা করে দেখা যায় ঘটনার সময় তাঁরও অবস্থান ছিল কালারমার ছড়ার ইউনুছখালী বাজারস্থ মোস্তফা কামালের ব্যবসায়ীক কার্যালয়ে।

একই ঘটনায় পরদিন ২০ জানুয়ারি আরও একটি মামলা দায়ের করেন জসীম উদ্দীন সরকার নামে আরেক ব্যক্তি। যার মামলা নম্বর-১১। ওই মামলায়ও তাদের আসামি করা হয়। ভিন্ন তারিখে দুইটি মামলা হলেও ঘটনার সময় দেড় ঘন্টার ব্যবধান যেটি একই এলাকা বলে উল্লেখ করা হয়। প্রথম মামলায় ঘটনার সময় হিসেবে উল্লেখ করা ৮ জানুয়ারি দুপুর ২ টা আর ২য় মামলা ১৮ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ৩টা। মামলায় পিতা ও পুত্রকে আসামি করার বিষয়টি পূর্ব শত্রুতা ও পরিকল্পিত ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক হয়রানি বলে মনে করছেন। পরিবার। ইতোমধ্যে এর সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, ডিআইজি ও আইজিপি বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মিথ্যা ভাবে মামলার আসামি নির্যাতিত বিএনপি নেতা মোস্তাফা কামাল জানান-মহেশখালীর আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি হতে আমি ব্যবসা সূত্রে ২ লাখ টাকা পাওনা আছি, আমাকে একটি ব‍্যাংক চেকও দেন তিনি। কিন্তু ব্যাংকের একাউন্টে কোনো টাকা ছিলো না এবং সরাসরিও আমার পাওনা টাকা পরিশোধ করেননি, এ নিয়ে আমি আবুল হোসেনের কাছে উকিল নোটিশ পাঠাই এরপর থেকে তিনি আমি ও আমার পরিবারের উপর ক্ষেপে আছেন। পাওনা টাকা। চাইলে তিনি আমাকে বিভিন্ন হামলা ও মামলার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। আর পেকুয়া থানায় দায়ের হওয়া মামলার বাদীদের সাথে মহেশখালীর এই আবুল হোসেনের আত্মীয়তা রয়েছে, ফলে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে আবুল হোসেন জসীম উদ্দীন ও ওয়াজ উদ্দীনকে দিয়ে তিনি ও তার পিতাকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ-পুলিশ রাজনৈতিক প্রভাবের কাছে নতিস্বীকার করে বা কোন ইন্ধন বা চাপের কারণে এ ধরনের মামলায় নিরীহ ব্যক্তিদের আসামি করা খুবই দুঃখজনক। এই ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলায় আসামি হওয়া নিরীহ ব্যক্তিদের অব্যহতি দেওয়ার দাবি জানান তারা। মামলার বিষয়ে বাদি ওয়াজেদ উদ্দিন জানান, আমি জমির মালিক, আমরা আমাদের প্রজেক্ট চাষ করতে চাইলে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় আমর মামলা করেছি। তবে তিনি হারুন তাহের ও মোস্তাফা কামাল নামে এই দুই ব্যক্তিকে চিনে না বলেও জানান। কিভাবে তাদের নাম মামলায় আসলো সে বিষয়ে মামলার এই বাদি কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তবে আরেকটি মামলার বাদী জসিম উদ্দিন সরকারকে ফোন দিলে সাংবাদিকের পরিচয় জেনে কল কেটে দেন। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি সিরাজুল মোস্তাফা জানান, আসলে মামলার এজাহার আসার পর কে অপরাধী বা কে নিরপরাধ তা দেখার সময় থাকে না, দ্রুত মামলা না নিলেও আমরা বিতর্কিত হয়ে পড়ি। যদি নিরাপরাধ ব্যক্তির ভুল নাম চলে আসে তা তদন্ত সাপেক্ষে

বাদ দেওয়া হবে। মামলার চূড়ান্ত তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাওকে হয়রানী বা গ্রেফতার করা হবে না বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশ মানবাধিকার ফোরামের কক্সবাজার জেলা সভাপতি ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী সেজান এহেসান জানান, এভাবে নির্দোষ ব্যক্তিদের মামলায় আনা মানে সেই মামলাটি হাল্কা হয়ে যাওয়া। পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা সে বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে নিরপরাধ ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে দ্রুত আদালতে চার্জশিট প্ররণ করা উচিত।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ জানান, জেলায় দায়িত্বে যতদিন আছি আমার শতভাগ প্রচেষ্টা থাকবে কোন মামলায় নিরপরাধ কাওকে অযথা হয়রানি করা হবে না। তিনি ইতোমধ্যে বিষয়টি জানার পরে সংশ্লিষ্ট থানায় এ নিয়ে গুরুত্বের সাথে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে জানান।