নুর মোহাম্মদ – কক্সবাজার।।
কক্সবাজার রামুতে বেসরকারী এনজিও সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর রামু এরিয়া ম্যানেজার মোঃ মিজানুর রহমান এর পরোক্ষ সহযোগিতায় ও সংস্থার নাম ভাঙ্গিয়ে শতশত নারী ও কিশোর কিশোরীদের বিনামূল্যে জনপ্রতি চাউল- ডাল- চিনি- তেল ইত্যাদি ১৫ ধরনের মালামাল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রামু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নারী পুরুষ এবং তাদের -ছেলে মেয়ে- কিশোর কিশোরীদের লেখা পড়ার উপকরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জনপ্রতি ২,৫০০টাকা উত্তোলন করে প্রায় ৬- ৭ লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাশেদুল ইসলাম বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ভোক্তভোগিরা।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগে জানা যায় রামু ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সিকদার পাড়ার আসমা বেগম- মুসলিমা বেগম ও রামু আকতার হোসেন গ্রুপের ২০ জন সদস্যদের কাছ থেকে ২৫০ জন হইতে ৬,২৫০০০ টাকা ও কাউয়ারখোপ ইউনিয়নর লর্ড উখিয়ারঘোনা জহুরা বেগম গ্রুপের ২৭ জন হতে জন প্রতি ২৫০০ টাকা করে ৬৭,৫০০ টাকা প্রদান করেন। এছাড়া চাকমারকুল, জোয়ারিয়ানালা- কাউয়ারখোপ- গর্জনিয়া- কচ্ছপিয়ার হাজারো নারী পুরুষ- কিশোর কিশোরীদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গ্রুপ করে টাকা নিয়ে রামু ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের উত্তর শ্রীকুল ৫নং ওয়ার্ডের জাহেদ ইসলামের স্ত্রী সেলিনা আক্তার- জাহেদ ইসলাম- শাহীন সরওয়ার বাবু, ইসমাত আরা- আলতাফ মিয়া সওদাগরের ছেলে সাবের আহমদের হাতে দেন বলে জানান । অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নিকট ভুক্তভোগিরা অধিক মালামালের আশায় দীর্ঘ ১ বছর পূর্বে এলাকার শত শত নারী ও কিশোর কিশোরীদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন রামু থানায়।
অভিযোগ দায়ের করার পর রামু থানা এস আই সুনয়ন বড়ুয়া অভিযুক্ত ব্যক্তিদের থানায় আসার জন্য বললে ও না আসায় শত শত নারী পুরুষ, কিশোর কিশোরীরা তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার আসায় কক্সবাজার সদর – রামু -ঈদগাহ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের বাসায় গেলে তিনি অসহায় নারীদের কথা শুনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস্থ করেছেন বলে জানা গেছে।
এনজিও ওয়াল্ড ভিশন দীর্ঘদিন যাবত সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন রকমের মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে হয়রানি ও প্রতারনা করার অভিযোগ রয়েছে কতিপয় ওয়াল্ড ভিশনের ম্যানেজার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। তার সাথে অনেক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাহাকে পাওয়া যাইনি।
এই সব নারীরা গত ১৪ জুলাই তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য রামু থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান অসহায় পরিবারের সদস্যরা। এরপর গত ২৯ শে জুলাই রামু থানায় অভিযুক্তদের আসার জন্য নলা হলেও এরা আসেন নি। এই ব্যাপারে
রামু থানা অফিসার ইনচার্জ -ওসি- আবু তাহের দেওয়ান জানান, ভুক্তভোগী মহিলাদের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে এস আই সুনয়ন বড়ুয়াকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানান।
ভুক্তভোগী আসমা বেগম- জহুরা বেগম- মুসলিমা বেগম- আকতার সহ আরো ভুক্তভোগীরা তাদের দেওয়া টাকা গুলো ফেরত পাওয়ার জন্য রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এনজিও ওয়াল ভিশন সংস্থা বরাবর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগে জানান ফতেখাঁরকুল শ্রীকুল ৫নং ওয়ার্ডে জাহেদ ইসলামের স্ত্রী সেলিনা আক্তার- জাহেদ ইসলাম- শাহীন সরওয়ার বাবু, ইসমাত আরাসহ আলতাফ মিয়া সওদাগরের ছেলে সাবের আহমেদ হাতে দেওয়া টাকা গুলো ফেরত পাওয়ার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা সহ অভিযুক্ত সন্ত্রাসী প্রতারক অর্থলোভী ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন যাবত এলাকার সহজ সরল মানুষ কে এনজিও ওয়াল ভিশন সংস্থার কথা বলে রামু উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন থেকে নারী পুরুষ- কিশোর কিশোরীদের নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ব্যাপারে এনজিও ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকাণ্ড তদন্ত পূর্বক অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন অসহায় পরিবারের সদস্য বৃন্দ।
উল্লেখ্য যে ১৪ আগষ্ট সাড়ে বারোটার দিকে রামু উপজেলা পরিষদে নির্বাহী অফিসার -ইউএনও- বরাবরে এনজিও ওয়াল্ড ভিশন নাম ভাঙিয়ে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ চক্রের বিরুদ্ধে ইউএনওর কাছে অভিযোগ করতে আসলে দিন দুপুরে ইউএনও অফিসের নিচে নারীদের ওপর প্রকাশ্যে হামলা। এসময় ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও উপস্থিত ছিলেন।