ঈদগাঁও -কক্সবাজার- প্রতিনিধি।।
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম ঈদগাহ্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্নের প্রতিবাদে এবং প্রধান শিক্ষিকার পদত্যাগ ঠেকাতে এবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলে মাঠে নেমে পড়েছেন।
২৭শে আগষ্ট সকাল ১১টায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশীদুল জন্নাতের পদত্যাগের দাবীতে একটি কুচক্রী মহল মিছিল ও মানববন্ধন করে। উক্ত মানববন্ধনে হাতে গোনা কয়েকজন যুবক ছিল মাত্র।
এমন খবরে একইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক সাধারন শিক্ষার্থীরা স্কুলের সুনাম ক্ষুন্নের প্রতিবাদ ও প্রধান শিক্ষক এর পদত্যাগ ঠেকাতে বাজার ও স্টেশন পয়েন্ট বিক্ষোভে মিছিল শেষে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্তরে এসে মিলিত হয়। এসময় নানা শ্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
বেশ কয়েকদিন ধরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশীদুল জন্নাতের পদত্যাগ দাবীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষিকার ছবি ব্যবহার করে কতিপয় একটি পক্ষ লেখালেখি করে যাচ্ছেন।
সূত্র মতে- ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খুরশীদুল জন্নাতের সৃজনশীল নানান কর্মকাণ্ডে অভূতপূ্ণ পরিবর্তন ছোঁয়া লেগেছে। স্কুলটি ভৌত অবকাঠামো, একাডেমীক উন্নয়নে এগিয়ে। ২০১০ সালে প্রধান শিক্ষিকা যোগদানে পর থেকে দিবারাত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে স্কুলে সামগ্রিক উন্নয়ন এবং লেখাপড়ার মানোন্নয়নে অভাবনীয় ভূমিকা রেখেই যাচ্ছেন।
জানা যায়- বেদখল হওয়া বিদ্যালয়ে জমি উদ্ধার- চারপাশে পাকা দেয়ার দিয়ে ঘেরা প্রদর্শন করে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করন,মূল ফটকে অত্যাধুনিক গেইট নির্মাণ,ভবন সম্প্রসারণ,শহীদ মিনার নির্মাণ- বিদ্যালয়ে নান্দনিক বাগান তৈরি- চমৎকার সেমিনার হল,অনন্য সুন্দর পাঠাগার স্থাপন করে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছেন এ সাহসী প্রধান শিক্ষিকা। সে সাথে ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়ের একাডেমিক সাইট উন্নয়নের বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলছেন। প্রতি বছরেই পড়ালেখার দিক দিয়েও সুনাম অক্ষুন্ন রাখছেন। অভিভাবক সমাবেশের মাধ্যমে মতা মতের ভিত্তিতে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান সহ শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখেন।
আরেক সূত্র মতে- ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক খুরশীদুল জন্নাতের বিরুদ্ধে পৌনে দুই কোটি টাকা আত্নসাতের অভিযোগটি তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছর ১৪ জানুয়ারী সহকারী পরিচালক কাওছার আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রধান শিক্ষিকাকে এই অভিযোগ হতে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
সততা ও নিষ্ঠার সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করা একজন প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছেন কতিপয় এক শ্রেণীর কুচক্রী মহল।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মতে- স্কুলের সবদিক বিবেচনায় অতীত আর বর্তমান সময় কার তফাৎ অনেক ব্যবধান। খুরশীদুল জন্নাত না হলে বিদ্যালয়ের অবকাঠামোর উন্নয়নে মুখ দেখতো না আলোতে। অন্ধকারেই নিমজ্জিত থাকতো। এমনি দিনে তাঁর পদত্যাগের দাবীতে ধোঁয়া তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে হেনাস্তা করা হচ্ছে। এটি কোন ভাবে কাম্য নয়।