এম আবু হেনা সাগর- ঈদগাঁও।।
অতিবৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দ্বিতীয় বারের মত প্লাবিত হল কক্সবাজার জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারসহ আশপাশের নিম্মাঞ্চল এলাকা। বাজারের বিভিন্ন অলিগলিতে হাঁটু পানিতে নিমজ্জিত। জালালাবাদে বেড়ীবাঁধ ভেঙে নদীর পানি লোকালয়ে। অসংখ্য পরিবার পানিবন্দি। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার -১৩ সেপ্টেম্বর- দুপুরের দিকে ঈদগাঁও বাজারসহ উপজেলার ঈদগাঁও – জালালাবাদের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
জানা যায়- সৃষ্ট বন্যায় ঈদগাঁও বাজারের শাপলা চত্তর- মসজিদ গলি- ঈদগাঁও হাইস্কুল গেইট- চাউল বাজার- হাসপাতাল সড়ক- মাছ বাজার সড়ক- ডিসি সড়কসহ পুরো বাজার এলাকা হাঁটু পরিমান পানিতে সয়লাভ। কিছু কিছু ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও প্রায় দোকানপাঠ বন্ধ রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন দোকানপাঠে পানি ঢুকে মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ কোমর পানিতে নিমজ্জিত।
ঢলের পানিতে নতুন করে ঈদগাঁওর জালালাবাদ মঞ্জুর মৌলবীর দোকানস্থ বেড়ীবাধটি ভেঙে গেছে। মহান আল্লাহ সহায় সবাই সাবধানে থাকি। পাশাপাশি সওদাগর পাড়া- খামার পাড়া,হিন্দু পাড়ার ৬টি বেড়ি বাধ বেশি ঝুকিপূর্ণ বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজ আইডিতে পোস্ট করেন জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর তাজ জনি। বাজারের সুপারীগলির বিভিন্ন বাড়ীঘরে হাটুপরিমান পানিতে সয়লাভ। ঈদগাঁও,জালালাবাদ ও ইসলামাবাদের নানান এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েন। দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীলসহ নানা শ্রেনী পেশার লোকজন পড়েন মারাত্মক ভোগান্তিতে। টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণের দাবিও জানান স্থানীয়রা।
আরো জানা যায়- ঈদগাঁও ইউনিয়নের বৃহৎ মাইজ পাড়ার ভরা খালটি দীর্ঘকালেও খনন না করার ফলে বৃষ্টি কিংবা বন্যার পানি সুষ্ঠভাবে চলাচল করতে পারছেনা। যার দরুন- খালপাড়ের বসতবাড়ী সমুহ প্রতিবছরই প্লাবিত হয়। ছোট ছোট ছেলেমেয়েসহ অপরাপর লোকজন চলাচলে নিদারুন কষ্ট পাচ্ছেন বলেও জানান গৃহবধূরা।