
শওকত আলম, কক্সবাজার
ইসলামি বক্তা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মানবতা বিরোধী অপরাধে আটক ও কথিত শাস্তি দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৎকালীন জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হওয়ায় তার মুক্তির দাবীতে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঈদগাঁও বাসস্টেশনে হরতালে ৬-৭ হাজার মুসল্লী নিয়ে মিছিল করলে, দায়িত্বশীল পুলিশবাহিনি বাধা দিলে মিছিলে থাকা জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সাথে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।
সংঘর্ষকালে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে আব্দুর রশিদ -৩২- নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়।
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ -২৬ জানুয়ারি- রোববার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ঈদগাঁও আদালতে, নিহতের বড় ভাই আক্তার হোসাইন বাদি হয়ে ৫১ জন এজাহার নামীয় আসামী ও ৫০-৬০ জন অজ্ঞাতনামা করে মামলা দায়ের করেন। যার নং সি,আর-৩৬-২৫।
আদালত মামলাটি গ্রহন করে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য অফিসার ইনচার্জ ঈদগাঁওকে নির্দেশ দেন।
মামলার বাদি নিহত আব্দুর রশিদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন।
তৎকালীন ঈদগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক এ.কে.এম মঞ্জুর আলমকে ১ নং আসামি করে মোট ২৩ জন পুলিশ সদস্য ও ২৮ জন আওয়ামী লীগের নেতাকে আসামি করেন।
নিহতের বড় ভাই আক্তার হোছাইন মামলায় উল্লেখ করেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে ৬-৭ হাজার মুসল্লী ও সাধারণ মানুষ দুপুরে ঈদগাঁও বাস-স্টেশনে মিছিল করলে ওই মিছিলে আমার ছোট ভাইও উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়েন এবং আব্দু রশিদকে থানায় নিয়ে যান। ৫ নং আসামি এ,এস,আই রুপন আমার ভাই করে বাহুতে গুলি করে। আব্দু রশিদের ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয় এবং ২৩ নং আসামি প্রিয়তোষ দাশ তলপেটে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।