ঈদগাঁও -কক্সবাজার- প্রতিনিধি।।
ঈদগড়ে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার সরকারী নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ পরিবার পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায়ের ৩ বছর অতিবাহিত হলেও কিন্তু সংযোগ দেওয়া হয়নি।
জানা যায়- ঈদগড় ইউনিয়নে ও শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার সরকারী নির্দেশনা থাকলেও ৬নং ওয়ার্ডের আলীক্ষ্যং নিরিবিলি গ্রামের প্রায় ৬০টি পরিবার এখনও বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায়- ঈদগড় আলীক্ষ্যং নিরিবিলি গ্রামের ৬০ টি পরিবার এখন ও বিদ্যুৎ মিটার ও সংযোগ পায়নি। নিরিবিলি গ্রামের নুরুল হক- রশিদ আহাম্মদ- মোঃছৈয়দ- নুরুল আমিন ও অলিউল ইসলাম জানান- তারা ৬০ টি পরিবার এখনও বিদ্যুৎ সেবা পায়নি। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য খুঁটি পুঁতেও রহস্যজনক কারণে পুণরায় তুলে নিয়ে গেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
তারা অভিযোগ করে বলেন- ঈদগড় বড়বিল গ্রামের আব্দুল হাকিমের পুত্র আমানুল হক নিজেকে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারী পরিচয় দিয়ে আমাদের গ্রামের বিদ্যুৎ বঞ্চিত ৬০ পরিবারকে সংযোগ ও মিটার এনে দিবে মর্মে গত ১৮-০৯-২০২১ ইং তারিখে ননজুডিশিয়াল ক ঞ– ৯৩১৩২৪২ নং ষ্টাম্প মুলে লিখিত অঙ্গিকার নামায় দস্তখত দিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়ে জন প্রতি ১ হাজার টাকা করে গ্রহন করে এবং দুই মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটার দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু ৩ বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ মিটার এনে দিতে পারেনি।
তারা অভিযোগ করে আরও জানান- তারা এই পর্যন্ত টাকা ও ফেরত পায়নি বিদ্যুৎ ও পায়নি। তারা সরকারের কাছ থেকে বিদ্যুৎ মিটার ও সংযোগ পাওয়ার দাবী জানান।
ঈদগড় ইউনিয়নের আলীক্ষ্যং নিরিবিলি গ্রামের ৬০ টি পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটার প্রদান করা হবে কিনা কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঈদগড় অফিস ইনচার্জ শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- আলীক্ষ্যং নিরিবিলি গ্রামটি বনবিভাগের জায়গার উপর। তাই বনবিভাগের বাঁধার মুখে সেখানে সংযোগ ও মিটার দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা।
আমানুল হক নামে কেউ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারী নয় বলে তিনি জানান। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারী পরিচয় দিয়ে টাকা আদায় করা আমানুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কেউ নই। তবে বিদ্যুৎ এর টেকনিশিয়ান হিসাবে মানুষের বাড়ি ঘরে ওয়ারিং এর কাজ করি। নিরিবিলি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটার দেওয়ার ব্যপারে আমি চেষ্টা করেছি। পুরো গ্রামটি বন বিভাগের জায়গা হওয়ায় বনবিভাগের বাঁধার মুখে বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটার দিতে পারিনি। ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। ১৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছি। বাকী ১৫ হাজার অল্প দিনের মধ্যে দিয়ে দেব।