ইবি প্রতিনিধি।।
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর করা উক্তিকে কেন্দ্র করে রবিবার -১৪ জুলাই- রাতে স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। মিছিলে ‘চাইতে গেলাম অধিকার- হয়ে গেলাম রাজাকার- তুমি কে আমি কে- রাজাকার রাজাকার- ইত্যাদি স্লোগানের মাধ্যমে তারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সোমবার -১৫ জুলাই- বেলা সাড়ে ১১টায় দলীয় টেন্ড থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক হয়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া বাজার ঘুরে পুনরায় একই স্থানে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় সংগঠনটির সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মধ্যরাতে বিক্ষোভ করা শিক্ষার্থীদের দাবি- কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে যাচ্ছে। এর কোনো সমাধান না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের রাজাকারের সন্তান বলে তাচ্ছিল্য করেছেন। এর প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন- যে শব্দটাকে আমরা ছোটকাল থেকে ঘৃণাভরে জেনেছি- সেই রাজাকার পরিচয় দিয়ে কিছু শিক্ষার্থী গত রাতে স্লোগান দিয়েছে। এতে ছাত্রসমাজ ব্যথিত হয়েছে। রাজাকারদের সাথে আমাদের কোনো আপোষ নেই। এই বাংলাদেশে একটাই মাত্র স্লোগান। তুমি কে- আমি কে- বাঙ্গালী- বাঙালী । যারা এর বাইরে স্লোগান দেয় তাদেরকে স্পষ্টভাষায় বলতে চাই- আর কোন প্রতিবাদ প্রতিবাদ খেলা নয়। আর একবার যদি ইবির মাটিতে নিজেকে রাজাকার বলে স্লোগান দেওয়া হয়- স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি তাদের সমূলে উৎপাটন করবে। কোন রাজাকারকে এক বিন্দুও ছাড় দেয়া হবেনা।
সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন- রাজাকার শব্দটা ঘৃণীত এবং স্বাধীনতার বিপক্ষে। আমরা মীরজাফর এবং রাজাকার শব্দটি একই অর্থে ব্যবহার করি। যারা রাজাকার রাজাকার বলে স্লোগান দিয়েছে তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই। রাজাকার হয়ে তারা স্বাধীন বাংলাদেশের ভুখন্ডে থাকতে পারে না। স্বাাধীনতাবিরোধী কুচক্রী মহল সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগকে পুঁজি করে দেশে অরাজকতার সৃষ্টি করছে। তারা শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশে বিঘ্ন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ইবি শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তাদের শক্তহাতে প্রতিহত করবে।